আজ, বৃহস্পতিবার ভোরবেলা যুক্তরাষ্ট্রের সান ডিয়েগোর একটি আবাসিক এলাকায় আছড়ে পড়ে একটি ছোট বিমান। মুহূর্তের মধ্যে জ্বলতে শুরু করে ১৫টিরও বেশি বাড়ি ও বেশ কয়েকটি গাড়ি। চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে জ্বালানির গন্ধ, আতঙ্কে দিশেহারা হয়ে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা।
আগুনে পুড়ে ছাই ঘরবাড়ি, তীব্র আতঙ্ক
ঘটনাস্থলে উপস্থিত দমকল বিভাগের সহকারী প্রধান ড্যান এডি জানান, “ঘটনাটি যেন সিনেমার দৃশ্যের মতো। এটি আমাদের দুঃস্বপ্নের মতো পরিস্থিতি – রানওয়ের একেবারে পাশে বিমান বাড়ির ওপর পড়েছে।”
এলাকা থেকে পালাচ্ছে মানুষ, প্রাণ বাঁচাতে ছোটাছুটি
প্রতিবেশী ক্রিস্টোফার মুর জানান, “একটা বিশাল শব্দে ঘুম ভেঙে গেল। জানালা দিয়ে বাইরে তাকাতেই দেখি ধোঁয়ায় আকাশ অন্ধকার। সঙ্গে নিয়েই আমরা দুই সন্তানকে নিয়ে দৌড়ে বেরিয়ে আসি।” আগুনে জ্বলতে থাকা গাড়ির ছবি দেখে শিউরে উঠেছেন অনেকে।
সামরিক ঘাঁটির পাশে দুর্ঘটনা, উদ্ধার চলছে
এই এলাকা মূলত সামরিক ও বেসামরিক বিমান চলাচলের জন্য পরিচিত। কাছেই রয়েছে মারিন কর্পস এয়ার স্টেশন মিরামার ও মন্টগোমারি-গিবস বিমানবন্দর। বিমানের ধ্বংসাবশেষ ও জ্বালানি ছড়িয়ে পড়ায় বাড়ি বাড়ি তল্লাশি করছে দমকল কর্মীরা।
কুকুর ছানাদেরও উদ্ধার করল পুলিশ
একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় তিনটি হাশকি প্রজাতির কুকুরছানা। এদিকে মিলার এলিমেন্টারি স্কুলে তৈরি করা হয়েছে অস্থায়ী আশ্রয় শিবির। বহু পরিবার এখনো রাতে পরনের জামাকাপড়েই বাইরে দাঁড়িয়ে।
বিমানটি ছিল সেসনা ৫৫০ মডেলের
ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (FAA) জানায়, বিধ্বস্ত বিমানটি ছিল সেসনা ৫৫০, যার ধারণক্ষমতা ৬ থেকে ৮ জন। এখনো জানা যায়নি বিমানে কতজন ছিলেন বা কেউ বেঁচে আছেন কিনা। তদন্তে নেমেছে NTSB।
এলাকাবাসীকে সতর্ক থাকার আহ্বান
পুলিশ ও দমকল বিভাগ সবাইকে অনুরোধ করছে – যদি কেউ বিমানের ধ্বংসাবশেষ দেখেন বা জ্বালানির গন্ধ পান, সঙ্গে সঙ্গে যোগাযোগ করুন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। আপাতত স্যাম্পল স্ট্রিট, সালমন স্ট্রিট এবং স্কালপিন স্ট্রিটে চলেছে ব্যাপক নিরাপত্তা ও তল্লাশি অভিযান।