TRENDS
হঠাৎ বৃষ্টিতে ভিজে গেল ল্যাপটপ? কী করবেন এখনই জেনে নিন
সাধ্যের মধ্যে সাশ্রয়ী বাইক খুজছেন! রইল ১ লাখের কমে সেরা কিছু সন্ধান

BJP to TMC : রাতের অন্ধকারে পাল্টে গেল খেলার ছক! গাজোলে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে এক ঝাঁক কর্মী, নেতৃত্বে জবা মণ্ডল

মালদার গাজোলে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য জবা মণ্ডল-সহ প্রায় ৫০ জন। একপ্রকার চুপিচুপি দলবদলের এই সিদ্ধান্ত ঘিরে উত্তাল রাজনৈতিক মহল।

Debapriya Nandi Sarkar

BJP to TMC : মালদার গাজোলে রাত পোহানোর আগেই ঘুরে গেল রাজনৈতিক চিত্রপট। রবিবার রাতে গাজোল ব্লক গেট সংলগ্ন তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয়ে হঠাৎ করেই অনুষ্ঠিত হল এক নাটকীয় যোগদান কর্মসূচি। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সদস্য জবা মণ্ডল-সহ প্রায় ৫০ জন বিজেপি কর্মী।

Advertisements
Whatsapp-color Created with Sketch. গুরুত্বপূর্ণ খবর পেতে এখনই যুক্ত হোন 👉🏻
Join Now

যেখানে গাজোলে এতদিন বিজেপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এলাকাগুলোর মধ্যে অন্যতম, সেখান থেকেই হঠাৎ এতজনের দলবদল রাজনৈতিক মহলে এক প্রকার বিস্ময় ছড়িয়েছে।

নেতৃত্বে জবা মণ্ডল, দলবদলের কারণ কী?

যাঁদের মধ্যে নেতৃত্বের ভূমিকায় ছিলেন জবা মণ্ডল, তিনি শুধু প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য নন, বরং এলাকায় একজন পরিচিত বিজেপি মুখও। তাঁকে সামনে রেখেই আরও প্রায় ৫০ জন বিজেপি কর্মী তৃণমূলে যোগ দেন।

Whatsapp-color Created with Sketch. সেরা খবরগুলো মোবাইলে পেতে এখনই যুক্ত হোন👉🏻
Join Now

জিজ্ঞেস করলে জবা মণ্ডল বলেন,”আমরা এতদিন বিশ্বাস করতাম বিজেপি রাজ্যের উন্নয়নে কাজ করবে। কিন্তু এখন আর তেমন কিছু দেখতে পাচ্ছি না। তৃণমূল যে ভাবে মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে, তাতে আমাদেরও মনে হয়েছে এটাই সঠিক সময়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে উন্নয়ন সত্যিই চোখে পড়ার মতো।”

কোথায় হল এই দলবদল?

গাজোল ব্লকের তৃণমূল কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় এই যোগদান সভা। উপস্থিত ছিলেন ব্লক তৃণমূল সভাপতি ও অন্যান্য নেতা-কর্মীরা। সবাই মিলে ফুলের মালা পরিয়ে নতুন কর্মীদের স্বাগত জানান। এই অনুষ্ঠানটি বিশেষ ভাবে ঘরোয়া পরিবেশে হলেও, উপস্থিত কর্মীদের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো।

রাজনীতির অঙ্কে গরম গাজোল

একটা সময় গাজোল ছিল মালদা জেলার অন্যতম বিজেপি-শক্ত ঘাঁটি। কিন্তু সম্প্রতি পঞ্চায়েত নির্বাচনকে ঘিরে তৃণমূলের শক্তি ও প্রভাব ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করেছে। এই যোগদান যে বিজেপির জন্য একটা বড় ধাক্কা—তা মানছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরাও। বিজেপির তরফে এখনও এই দলবদল নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি। তবে স্থানীয় স্তরে শোনা যাচ্ছে, কিছুদিন ধরেই দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে মতানৈক্য তৈরি হচ্ছিল বহু কর্মীর।

তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া

তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, এটা আসলে “উন্নয়নের প্রতি মানুষের আস্থা”। এক ব্লক নেতৃত্ব জানান,”মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্ত করতে চাইছেন। তৃণমূলই পারে বাংলার উন্নয়ন নিশ্চিত করতে।”

কী বার্তা দিচ্ছে এই দলবদল?

এই যোগদান শুধু কর্মীর সংখ্যা বৃদ্ধিই নয়, বরং বিজেপির ভিত কতটা আলগা হচ্ছে, তারই প্রমাণ। স্থানীয় রাজনীতিতে এই রকম দলবদল বড়সড় বার্তা দিতে পারে আগাম পঞ্চায়েত ও লোকসভা নির্বাচনের আগে।

উল্লেখ্য, গাজোলে এই হঠাৎ রাজনৈতিক পালাবদল নতুন করে জোরালো করে দিল তৃণমূল বনাম বিজেপির লড়াই। প্রশ্ন উঠছে—এই দলবদল শুরু, না কি বড় ঝড়ের পূর্বাভাস? রাজ্য রাজনীতির ভবিষ্যৎ নির্ধারণে এই ঘটনাগুলি যে গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত বহন করছে, তা বলাই বাহুল্য।