Today’s Weather : ১২ জুন সকালে কলকাতার আকাশে রোদ থাকবে ঠিকই, তবে সেটা থাকবে মেঘের সঙ্গে চোখাচোখি খেলা করেই। হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, সকাল ৮টা থেকে ১১টার মধ্যে তাপমাত্রা থাকবে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। কিন্তু বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ এতটাই বেশি থাকবে (৭৫–৮২ শতাংশ) যে হালকা ঘেমে ওঠা অবধারিত।
দুপুরের পর থেকেই বদলাবে মেজাজ
দুপুর গড়াতেই মেঘেদের আনাগোনা বাড়বে। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বিকেলের দিকে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আকাশ কালো হয়ে আসতে পারে দুপুর ২টার পর থেকে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, একটি নিম্নচাপ-সদৃশ অক্ষরেখা ওড়িশা উপকূলের কাছে তৈরি হচ্ছে, যার প্রভাব ১২ তারিখে দক্ষিণবঙ্গে পড়তে পারে।
কোথাও কোথাও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির আশঙ্কা
বিশেষ করে উত্তর ও মধ্য কলকাতায় বিকেলের দিকে হালকা বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি হতে পারে। পূর্ব আলিপুর ও দমদমের কিছু অঞ্চলে হঠাৎ ২০-৩০ মিনিটের জোর বৃষ্টিও নামতে পারে। সঙ্গে থাকবে ঘন্টায় ৩০–৪০ কিমি বেগে দমকা হাওয়া। তাই ছাতা বা রেইনকোট সঙ্গে রাখতেই হচ্ছে।
তাপমাত্রা ও অস্বস্তি
দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে প্রায় ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যদিও তাপমাত্রা শুনে মনে হচ্ছে সহনীয়, কিন্তু আসল সমস্যা হবে ‘রিয়েল ফিল’-এ। বাতাসে অতিরিক্ত আর্দ্রতার কারণে শরীরের অস্বস্তির মাত্রা থাকবে অনেকটাই বেশি। অনেকেই ক্লান্তি ও জলের ঘাটতির অভিযোগ করতে পারেন।
বৃষ্টির ফাঁকে মিলবে কিছুটা স্বস্তি
বিকেল বা সন্ধ্যের দিকে কোথাও কোথাও নামতে পারে স্বস্তির বৃষ্টি। উত্তর কলকাতা ও শিয়ালদহের কিছু অঞ্চলে সন্ধের দিকে তাপমাত্রা কমে এসে দাঁড়াবে ২৮ ডিগ্রির আশেপাশে। যারা অফিস শেষে ঘরে ফিরবেন, তাদের জন্য হতে পারে এক টুকরো শান্তি।
যাতায়াতে সমস্যা হতে পারে
বিকেলের দিকে বৃষ্টির কারণে কিছু রাস্তায় জল জমার সম্ভাবনা থাকছে। বিশেষ করে বেহালা, কাশীপুর, এম জি রোড, পার্ক সার্কাস এলাকা সাময়িক যানজটে ভুগতে পারে। ট্রেন ও মেট্রোর পরিষেবাও ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
হাওয়া অফিসের সতর্কতা
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বৃষ্টি কম হলেও বজ্রপাতের সম্ভাবনা থাকায় খোলা জায়গায় না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। শিশু, বৃদ্ধ ও রোগীদের বাইরে না বেরনোই ভালো। গরম ও ঘাম থেকে রেহাই পেতে পর্যাপ্ত জলপান ও হালকা পোশাক পরার পরামর্শ দিয়েছে IMD।
উল্লেখ্য, ১২ জুন কলকাতার আকাশে থাকবে মেঘ ও রোদের লুকোচুরি। দুপুরের পর থেকে বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হবে, সঙ্গে অস্বস্তি-জর্জর গরম ও ঘেমে ওঠা। শহরবাসীদের জন্য এ দিন হবে অপ্রত্যাশিত ওঠানামায় ভরা এক আবহাওয়ার দিন—কখন ঝরবে জল, আর কখন মিলবে মুক্তি, তা বলে দেওয়া এখনই কঠিন।