July 2025 Ration Rule : রাজ্যজুড়ে রেশন ব্যবস্থাকে আরও স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক করতে বড়সড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে সরকার। ২০২৫ সালের জুলাই মাস থেকে রেশন কার্ডধারীদের জন্য চালু হতে চলেছে দ্বি-স্তরীয় যাচাই ব্যবস্থা—যেখানে মোবাইলে আসা OTP ও মুখের ছবি (ফেস রিকগনিশন) মিলিয়ে নিশ্চিত করা হবে কার্ডধারীর পরিচয়।
জালিয়াতি আটকাতেই কড়াকড়ি
খাদ্যসামগ্রী বিতরণে জালিয়াতি রুখতে এই নতুন ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে। বহুক্ষেত্রে দেখা গেছে, প্রকৃত গ্রাহকের নাম ব্যবহার করে অন্য কেউ রেশন সংগ্রহ করছে। এবার থেকে তেমনটা আর হবে না। OTP যাবে আধার নম্বর-সংযুক্ত মোবাইলে, আর মুখের ছবি মিলবে আধার তথ্যভাণ্ডারের সঙ্গেই।
পাইলট সফল, এবার রাজ্যজুড়ে সম্প্রসারণ
২০২৪ সালে কানপুর নগরের সরসৌল ও বিধানু ব্লকে এই প্রযুক্তির পাইলট চালু হয়। সাফল্যের সঙ্গে তা কার্যকর হয় বলে জানা গেছে। ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত শুধুমাত্র কানপুর নগরেই e-KYC প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছেন লক্ষাধিক মানুষ। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, সেখানে অগ্রগতি ইতিমধ্যেই ৪৫.৩৪ শতাংশ ছুঁয়েছে।
নতুন রেশন কার্ডেও বাধ্যতামূলক
আগামী ১ আগস্ট ২০২৫ থেকে যাঁরা নতুন করে রেশন কার্ডের জন্য আবেদন করবেন, তাঁদের জন্য ফেস রিকগনিশন বাধ্যতামূলক থাকছে। যাঁরা পুরনো কার্ডধারী, তাঁদেরও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে বলা হয়েছে।
রেজিস্ট্রেশন ক্যাম্প ও মনিটরিং
ব্লক ও পঞ্চায়েত স্তরে রেজিস্ট্রেশন ক্যাম্প খোলার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। দৈনিক ভিত্তিতে মনিটরিং হবে কোথায় কতজন রেজিস্ট্রেশন করলেন বা ফেস যাচাই করলেন। অগ্রগতিতে পিছিয়ে থাকা জেলার মধ্যে বাড়াউন ও বাহরাইচ-এর নাম উঠে এসেছে, যেখানে ফোকাস বাড়াতে বলা হয়েছে।
কী লাভ হবে এই নতুন ব্যবস্থায়?
সরকার মনে করছে, এই উদ্যোগের ফলে রেশন ব্যবস্থার স্বচ্ছতা বাড়বে, প্রকৃত উপভোক্তারাই সুবিধা পাবেন। জালিয়াতি ও বেআইনি রেশন বণ্টন রোখা সম্ভব হবে। পাশাপাশি, একাধিক ফরমে বা নাম ভাঙিয়ে রেশন তোলার প্রবণতাও বন্ধ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।