Rath Yatra 2025 Timing : পুণ্যভূমি পুরী প্রস্তুত আবার এক অনন্য ধর্মীয় মহোৎসবের জন্য। ২০২৫ সালের ২৭ জুন থেকে শুরু হচ্ছে ভগবান জগন্নাথের ঐতিহ্যবাহী রথযাত্রা, যা চলবে ৫ জুলাই পর্যন্ত। প্রতিবারের মতোই, হাজার হাজার ভক্তের সমাগমে মুখরিত হবে ওড়িশার এই শহর, যেখানে ধর্ম, সংস্কৃতি ও সমাজ মিলবে এক মহাযাত্রায়।
দ্বিতীয়ী তিথি ও যাত্রার সূচনা
রথযাত্রার দিন নির্ধারিত হয়েছে আষাঢ় মাসের শুক্ল পক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে। সময়সূচি অনুযায়ী এই তিথি পড়ছে ২৬ জুন দুপুর ১:২৪ থেকে ২৭ জুন সকাল ১১:১৯ পর্যন্ত। এই সময়েই বিশাল তিনটি রথে যাত্রা শুরু করবেন জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা, যাঁদের গন্তব্য হবে মাসির বাড়ি গুণ্ডিচা মন্দির।
পুজার সূচনা স্নান পূর্ণিমায়
এই নয়দিনের যাত্রার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে আগেই। ১১ জুন পালিত হয়েছে স্নান পূর্ণিমা, যেখানে তিন দেবতার মূর্তিকে প্রকাশ্যে এনে একসঙ্গে জলস্নান করানো হয়। এরপর রয়েছে গুণ্ডিচা মন্দিরের পরিচ্ছন্নতা রীতি গুণ্ডিচা মার্জনা, যা সম্পন্ন হবে যাত্রার আগের দিন। এই সমস্ত আচার মেনে তবেই শুরু হবে পবিত্র রথ টানা।
নয় দিন, এক ধর্মীয় যাত্রা
রথযাত্রা শুধু একদিনের উৎসব নয়, এটি এক নয় দিনব্যাপী ধর্মীয় অনুষ্ঠান। ২৭ জুন দেবতারা রথে গুণ্ডিচা মন্দিরে পৌঁছনোর পর সেখানে সপ্তাহব্যাপী অবস্থান করবেন। এরপর ৪ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে ‘বাহুদা যাত্রা’, অর্থাৎ ফিরতি যাত্রা। শেষদিন, ৫ জুলাই উদযাপিত হবে ‘সুনা বেশ’ ও ‘নীলাদ্রি বিজয়’, যখন দেবতারা ফিরে আসবেন মূল মন্দিরে—এবং রথ উৎসবের পরিসমাপ্তি ঘটবে। হিন্দু ধর্মবিশ্বাস অনুসারে, এই রথের রশি ছুঁলেই অর্জিত হয় পুণ্য ও মুক্তির আশীর্বাদ। এই উপলক্ষে ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লক্ষ লক্ষ ভক্ত পাড়ি জমান পুরীর উদ্দেশ্যে। শুধু দেশেই নয়, বিশ্বজুড়েই এই উৎসবের প্রতিরূপ উদযাপিত হয়, বিশেষ করে ইস্কন মন্দিরগুলিতে।
প্রস্তুত প্রশাসন, কড়া নজর নিরাপত্তায়
ভিড় নিয়ন্ত্রণ, নিরাপত্তা ও পরিকাঠামোর দিক থেকে ইতিমধ্যেই পরিকল্পনা শুরু করেছে স্থানীয় প্রশাসন। বাড়ানো হয়েছে ট্রেন ও বাস পরিষেবা। পর্যটকদের সুবিধার্থে জারি করা হয়েছে নতুন গাইডলাইন ও তথ্যপত্র।