Dilip Ghosh speech viral : রাজনীতিতে কথার তীব্রতা নতুন নয়। তবে এবার সেই বিতর্কে আন্তর্জাতিক রঙ লাগালেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। বুধবার নিউটাউনের ইকো পার্কে দাঁড়িয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে তিনি বললেন, “এখন উনি হয়ে গিয়েছেন International Mamata Banerjee।” শুধু তাই নয়, মুখ্যমন্ত্রীর সাম্প্রতিক মন্তব্য ও ভূমিকাকে তুলনা করলেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে। এই মন্তব্য সামনে আসতেই রাজ্য রাজনীতিতে নতুন উত্তেজনা ছড়িয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস কড়া ভাষায় দিলীপ ঘোষের বক্তব্যের নিন্দা করেছে।
কী বললেন দিলীপ ঘোষ?
ইকো পার্কের এক খোলা অনুষ্ঠানে দাঁড়িয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন আন্তর্জাতিক স্তরে যুদ্ধ থামানোর বার্তা দিচ্ছেন, বিশ্বের শান্তির জন্য কথা বলছেন। ট্রাম্পও এমন করতেন। ওঁরা দুজনেই সব বিষয়ে নিজেকে বড় করে দেখাতে পছন্দ করেন।” তাঁর আরও সংযোজন, “এই জাতীয় ‘রাজনৈতিক জোকারি’ মানুষ আগেও দেখেছে। আজ আবার নতুন মোড়ে ফিরেছে।” দিলীপবাবুর বক্তব্য অনুযায়ী, এই ধরনের মন্তব্য শুধু হাস্যরসেরই কারণ নয়, বরং রাজনীতিকে হাস্যকর করে তোলে।
তৃণমূলের পাল্টা প্রতিক্রিয়া
বিজেপি নেতার মন্তব্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের মুখপাত্র জানিয়েছেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেশের অন্যতম জনপ্রিয় ও সম্মানিত মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কাজ এবং আন্তর্জাতিক স্তরে বাংলার ভাবমূর্তি তুলে ধরার প্রয়াসকে অপমান করতে গিয়ে বিজেপি নিজেদের রাজনৈতিক দেউলিয়াপনা প্রমাণ করছে।” তৃণমূলের মতে, মুখ্যমন্ত্রীর কণ্ঠে শান্তির বার্তা থাকা স্বাভাবিক, কারণ তিনি জননেত্রী হিসেবেই মানুষের পাশে থাকতে শিখেছেন। রাজনৈতিক কৌশলে বিরোধীরা সেই অবস্থানকে বিদ্রুপ করে নিজেরাই হাসির পাত্র হচ্ছেন।
কেন তুলনা ট্রাম্পের সঙ্গে?
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্য নিছকই কটাক্ষ নয়, বরং এক রাজনৈতিক মেসেজ। ট্রাম্পের মতো নেতারা নানা বিতর্কিত মন্তব্য করে সংবাদমাধ্যমে জায়গা দখল করতেন। সেই তত্ত্বই এবার রাজ্য রাজনীতিতে প্রয়োগ করতে চাইছেন দিলীপ। পাশাপাশি বিজেপি চাইছে রাজ্যের রাজনীতিতে ফের ধর্ম, জাতীয়তা ও আন্তর্জাতিকতা নিয়ে বিতর্ককে সামনে আনা।
রাজনীতির ভাষা কতটা শালীন?
এই মন্তব্য ঘিরে আবারও সামনে এসেছে রাজনৈতিক শালীনতার প্রসঙ্গ। রাজনৈতিক মতভেদ থাকতেই পারে, কিন্তু নেতাদের মুখের ভাষা কতটা সংযত ও দায়িত্বপূর্ণ হওয়া উচিত, সেই প্রশ্ন তুলছেন অনেকে। সামাজিক মাধ্যমেও দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্যকে ঘিরে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।