Rath Yatra 2025 Digha : জগন্নাথদেবের নবনির্মিত দীঘা মন্দিরে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে রথযাত্রা। এই মহাযজ্ঞ যাতে নিখুঁতভাবে সম্পন্ন হয়, তার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই দীঘায় উপস্থিত থেকে প্রশাসনিক কার্যক্রম খতিয়ে দেখেন। সঙ্গে ছিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি, ডিএসডিএ আধিকারিক, স্থানীয় পুলিশ ও পুরসভা কর্তৃপক্ষ। তিনি স্পষ্ট করে জানান, পথের নিরাপত্তা, জনস্রোত সামলানো, ব্যারিকেড বসানো ও যানবাহন নিয়ন্ত্রণে যেন কোনও খামতি না থাকে। ভিড় এড়াতে কড়া নজরদারি চালানোর নির্দেশও দেন তিনি।
রথযাত্রা শুরু ২.৩০ পিএম-এ, কাঠের মূর্তিতে সম্পূর্ণ প্রস্তুতি
উৎসবের দিন দুপুর ২.৩০ মিনিটে রথযাত্রা শুরু হবে। Neem কাঠের তৈরি জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার মূর্তি তোলা হবে সুসজ্জিত রথে। প্রথা অনুযায়ী পূজা-অর্চনার পর রথ এগোবে প্রায় ১ কিলোমিটার পথ জুড়ে। পথের দুই পাশে থাকবে দর্শনার্থীদের ভিড়, থাকবে ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।
জনসমাগম সামাল দিতে প্রশাসনের পরিকল্পনা
প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, প্রায় দেড় থেকে দুই লক্ষ মানুষের উপস্থিতি প্রত্যাশিত দীঘার এই রথযাত্রায়। সেই কথা মাথায় রেখেই ব্যারিকেড বসানো, ট্রাফিক ডাইভারশন, CCTV নজরদারি ও মেডিকেল ক্যাম্প-সহ একাধিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রয়োজন হলে বিশেষ ট্রেন বা বাস পরিষেবাও চালু করা হতে পারে, জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। বিশেষ করে পর্যটকদের যেন কোনও অসুবিধা না হয়, তার জন্য রয়েছে হেল্প ডেস্ক ও স্বেচ্ছাসেবক দল।
ইস্কন ও ডিএসডিএ-র যৌথ আয়োজন
দীঘার এই রথযাত্রা আয়োজনে মূল ভূমিকায় রয়েছে ISKCON ও Digha Sankarpur Development Authority (DSDA)। স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে তাঁরা ইতিমধ্যেই রথ, মেলার স্টল, নিরাপত্তা ও ভিড় নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করে দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “দীঘাকে শুধু সমুদ্রতট পর্যটনের জায়গা নয়, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবেও গড়ে তুলতে চাই আমরা। রথযাত্রা তারই সূচনা।”
নিরাপত্তা ও আধ্যাত্মিকতা—দুই মিলিয়ে অনন্য উদ্যোগ
দীঘার এই রথযাত্রা রাজ্যের ধর্মীয় উৎসব ক্যালেন্ডারে এক নতুন সংযোজন। আর সেই উৎসব যাতে শান্তিপূর্ণ ও সুরক্ষিত হয়, তার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর সরাসরি হস্তক্ষেপ প্রশাসনকে নতুন করে প্রস্তুত হতে বাধ্য করেছে। রথযাত্রা শুধুই এক ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, এটা এক সামাজিক সংহতির প্রতীক, আর সেই সংহতিকে ঘিরেই দীঘায় তৈরি হচ্ছে এক নতুন ইতিহাস।