Digha Rath Yatra : রাজ্যের পর্যটন শহর দিঘা এই বছর নতুন পরিচয়ে নিজেকে তুলে ধরছে। মা জগন্নাথের নতুন মন্দির উদ্বোধনের পর এবার সেখানে শুরু হচ্ছে প্রথম রথযাত্রা। ২৭ জুন বিকেল ২:৩০ মিনিটে এই ঐতিহাসিক যাত্রার সূচনা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে।
সাড়ে তিন হাজার পায়ের যাত্রা, লক্ষাধিক মানুষের ভিড়
এই প্রথম দিঘায় অনুষ্ঠিত হতে চলেছে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার রথযাত্রা। শোভাযাত্রাটি প্রায় ০.৭৫ থেকে ১ কিলোমিটার দীর্ঘ পথ অতিক্রম করবে এবং বিকেল ৪টা থেকে সাড়ে ৪টার মধ্যে শেষ হবে বলে জানানো হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। রাজ্য সরকার আশা করছে, এই অনুষ্ঠানে প্রায় ২ থেকে ২.৫ লক্ষ ভক্ত অংশগ্রহণ করবেন।
নিরাপত্তা নিয়ে কড়া নজরে প্রশাসন
ভিড় সামলাতে রাস্তাজুড়ে বসানো হয়েছে ব্যারিকেড। প্রায় ৩,০০০ জন পুলিশ, ফায়ার ব্রিগেড ও স্বেচ্ছাসেবী বাহিনীকে মোতায়েন করা হয়েছে। রথের দড়ি এই ব্যারিকেডের সঙ্গে যুক্ত করা হবে, যাতে ভক্তরা রথে হাত দিতে পারেন, কিন্তু টানতে না পারেন। এই উদ্যোগ সম্পূর্ণ নিরাপত্তা বজায় রাখার উদ্দেশ্যেই নেওয়া হয়েছে। এই রথযাত্রার মূল আকর্ষণের মধ্যে অন্যতম মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অংশগ্রহণ। তিনি নিজেই স্বর্ণ ঝাড়ু দিয়ে রথযাত্রার পথ পরিষ্কার করবেন, যা একটি পুরাতন রীতির প্রতীক। রথযাত্রার সময় তিনিও উপস্থিত থাকবেন, এই ঐতিহাসিক যাত্রাকে স্মরণীয় করে তুলতে।
রথ ও প্রতিমার আয়োজন
রথে থাকছে নীল কাঠ দিয়ে তৈরি প্রতিমা। অন্যদিকে, দিঘার পুরনো মন্দির, যা এখন ‘মাসির বাড়ি’ হিসেবে চিহ্নিত, সেখানে পাথরের বিগ্রহ রাখা হয়েছে। প্রসাদ হিসেবে থাকবে ঐতিহ্যবাহী ৫৬ ভোগ, যা ভক্তদের মধ্যে বিতরণ করা হবে। এই বৃহৎ আয়োজন নির্বিঘ্ন করতে মুখ্যমন্ত্রী নিজে মধ্যরাতে দিঘায় পৌঁছে পরিদর্শন করেছেন রথের রুট ও নিরাপত্তা পরিকল্পনা। প্রশাসনিক কর্তারা, পুলিশ, এবং ISKCON প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেন তিনি।
উৎসবের পাশাপাশি রাজনৈতিক বার্তা?
এত বড় আকারে রথযাত্রা ও মুখ্যমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ শুধু ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, বরং একটি সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক বার্তাও বহন করে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। দিঘাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠতে চলেছে এক নতুন ধর্মীয় ও পর্যটন-ভিত্তিক পরিকাঠামো।