বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় মাদক পাচারকারীদের নতুন কৌশল ধরা পড়ল পুলিশের নজরে। মাছের ব্যবসাকে ঢাল বানিয়ে বিপুল পরিমাণ গাঁজা পাচারের চেষ্টা ছিল একটি চক্রের। দীর্ঘ সময় ধরে চলছিল এই পরিকল্পনা, কিন্তু পুলিশের সজাগ দৃষ্টি এবং গোপন সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এই মাদক পাচারের ছক সম্পূর্ণভাবে ভেঙে দেওয়া সম্ভব হলো।
উদ্ধার চার কুইন্টাল ২০ কেজি গাঁজা, আটক অসংখ্য সন্দেহভাজন
পুলিশের তল্লাশি অভিযান শেষে উদ্ধার করা হয়েছে মোট চার কুইন্টাল বিশ কেজি গাঁজা। এটি স্থানীয় বাজারে বিপুল অর্থের মূল্যবান। অভিযানের সময় বেশ কয়েকজন সন্দেহভাজনকে আটক করা হয়েছে এবং তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এর মাধ্যমে মাদকের এই বড় চালান দেশের ভেতরে প্রবেশ করানোর চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।
মাছের ট্রাক ছিল মাদকের আড়াল
এই পাচার চক্র মাছের ট্রাক ব্যবহার করেছিল গাঁজা আড়াল করার জন্য। কারণ, সীমান্তবর্তী এলাকায় মাছ পরিবহনের গাড়ি নিয়মিত যাতায়াত করে, তাই পুলিশ ও গোয়েন্দাদের সন্দেহের চোখ এড়ানো সহজ ছিল। কিন্তু পুলিশের আধুনিক প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা নেটওয়ার্কের কারণে শেষমেশ চালানটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
পাচার চক্রের পেছনে আরও বড় সিন্ডিকেটের সন্ধান
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এ ধরনের পাচার কেবল সীমান্তবর্তী অঞ্চলের কয়েকজনের কাজ নয়, বরং এর পেছনে রয়েছে সুগঠিত একটি বড় সিন্ডিকেট। গোয়েন্দারা পাচার চক্রের গহীন নেটওয়ার্ক ভাঙতে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। ধীরে ধীরে পাচারকারীদের সিন্ডিকেটের মূল হোতাদের সনাক্ত করে তাদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
সাধারণ মানুষের মধ্যে ছড়াল স্বস্তি ও আশা
এই সফল অভিযানে স্থানীয় বাসিন্দারা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। অনেকেই জানালেন, সীমান্ত এলাকায় মাদক পাচারের কারণে এলাকার জনজীবন অনেকটাই বিপর্যস্ত ছিল। পুলিশের কঠোর ও সফল পদক্ষেপ তাদের জীবনে নতুন আশা এনে দিয়েছে। এছাড়াও তারা পুলিশকে পুরোপুরি সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
পুলিশের দৃঢ় সংকল্প, মাদক নির্মূলেই প্রধান লক্ষ্য
পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, “আমাদের লক্ষ্য শুধু এই চালান আটকানো নয়, পুরো পাচার চক্রকে ধ্বংস করা। মাছের গাড়িকে আড়াল করে মাদকের এই ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আমরা ক্রমাগত কাজ করছি। আমরা জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত।”
বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকায় মাদক পাচারের বিরুদ্ধে পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত থাকবে এবং জনগণের সুরক্ষা ও শান্তি বজায় রাখতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানান সংশ্লিষ্টরা।