Oil Price Drop : ১২ দিনের উত্তেজনার পর অবশেষে ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই ঘোষণা সামনে আসতেই তেলের আন্তর্জাতিক বাজারে দেখা গেল উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন। একদিকে যেমন দাম পড়েছে তীব্র গতিতে, তেমনই বিনিয়োগকারীদের মধ্যে তৈরি হয়েছে স্বস্তি ও আস্থার আবহ।
দাম পড়েছে ব্যারেলপ্রতি কয়েক ডলার
বিশ্ববাজারে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ৩.৭৬% কমে দাঁড়িয়েছে প্রতি ব্যারেল $68.79, যা ১১ জুনের পর সর্বনিম্ন। অপরদিকে, আমেরিকার WTI (West Texas Intermediate) ক্রুড তেলের দাম ৩.৯৪% পড়ে $65.46-এ ঠেকেছে, যা ৯ জুনের পর সবচেয়ে কম। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই দামপতনের পেছনে যুদ্ধবিরতির ঘোষণাই মূল চালিকাশক্তি।
যুদ্ধবিরতির প্রভাব কতটা গভীর?
ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষণা অনুযায়ী, ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে “complete and total ceasefire” কার্যকর হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের উত্তপ্ত আবহে এই বার্তা বাজারে যেন অক্সিজেনের কাজ করেছে। হরমুজ প্রণালী ঘিরে উৎপাদন ও সরবরাহ ঘাটতির আশঙ্কা অনেকটাই কেটেছে। ফলে বিনিয়োগকারীরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন।
অর্থনীতি ও জ্বালানি খাতে স্বস্তি
বিশ্বজুড়ে অর্থনীতি ও জ্বালানির বাজার দীর্ঘদিন ধরেই অনিশ্চয়তার শিকার ছিল। ইরান-ইজরায়েল সংঘর্ষ সেই অনিশ্চয়তাকে আরও তীব্র করেছিল। যুদ্ধবিরতির ফলে জ্বালানি সরবরাহে ঘাটতি পড়ার সম্ভাবনা আপাতত ঠেকানো গেছে বলে মনে করা হচ্ছে। ফলে, আন্তর্জাতিক অর্থনীতির চাকা খানিকটা গতি ফিরে পেতে পারে বলে আশাবাদী বিশ্লেষকরা।
তবে সতর্ক বিনিয়োগকারীরা
যদিও এখনই দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা আশা করা হচ্ছে না। কারণ এই যুদ্ধবিরতির স্থায়িত্ব নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে। অতীতে বহুবার দেখা গেছে, যুদ্ধবিরতির অল্পদিনের মধ্যেই ফের সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। ফলে বিনিয়োগকারীদের একাংশ এখনো পুরোপুরি ঝুঁকি নিতে নারাজ। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, পরবর্তী কয়েকদিনই ঠিক করে দেবে তেলের বাজার কোন দিকে যাবে। যদি যুদ্ধবিরতি দীর্ঘস্থায়ী হয়, তবে দাম আরও পড়তে পারে। আবার যদি নতুন করে উত্তেজনা দেখা দেয়, তবে পরিস্থিতি ফিরে যেতে পারে আগের অবস্থায়।