ভারত-পাকিস্তানের সীমান্তে চাপা উত্তেজনা চলছে। সেই আবহে বড় সিদ্ধান্ত নিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। বন্ধ করে দেওয়া হল পাকিস্তান সুপার লিগের (PSL) বাকি আটটি ম্যাচ। ঠিক আগের দিনই এক সপ্তাহের জন্য আইপিএলও বন্ধ হয়েছিল। এবার যুদ্ধ পরিস্থিতির আশঙ্কায় নিজেদের ঘরোয়া টুর্নামেন্ট থামাতে বাধ্য হল পাকিস্তান।
খেলা সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা, কিন্তু রাজি নয় আমিরশাহি
প্রথমে পাকিস্তান ভেবেছিল, বাকি ম্যাচগুলো দুবাইয়ে আয়োজন করবে। কিন্তু সংযুক্ত আরব আমিরশাহি সেই প্রস্তাবে রাজি হয়নি। যুদ্ধ পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে তারা সাফ জানিয়ে দেয়, তারা এই ম্যাচ আয়োজন করতে পারবে না। তাই পিএসএল আপাতত স্থগিত রাখা হল।
স্টেডিয়ামের কাছে ড্রোন হামলা, তারপরই স্থগিত খেলা
রাওয়ালপিণ্ডিতে একেবারে ক্রিকেট স্টেডিয়ামের পাশে ড্রোন আছড়ে পড়ে। সেদিনই ছিল বাবর আজমদের ম্যাচ। ড্রোন হানার পর সেই ম্যাচ বাতিল হয়। এরপর পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে থাকায় প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের পরামর্শে পুরো টুর্নামেন্টই বন্ধ করে দেওয়া হয়।
দেশের মানুষের কাছে দুঃখপ্রকাশ করল পিসিবি
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান মহসিন নখবি বলেন, “দুঃখিত, এবার দেশের মানুষ মাঠে বসে খেলা দেখতে পারবে না। আমরা সবসময় বলি রাজনীতি আর খেলা আলাদা হওয়া উচিত, কিন্তু এবার সেটা আর সম্ভব হল না।”
যুদ্ধ শুধু সীমান্তে নয়, খেলাতেও তার প্রভাব
এই ঘটনা দেখিয়ে দিল, যুদ্ধ কেবল সীমান্তে নয়, তার ছায়া পড়ে খেলার মাঠেও। পিএসএলের স্থগিত হওয়া যেন যুদ্ধের এক নতুন ছবি।