যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমদানি শুল্ক সংক্রান্ত সিদ্ধান্তে বড়সড় ধাক্কা দিল ফেডারেল আদালত। রায় অনুযায়ী, ট্রাম্প তাঁর ক্ষমতার সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছেন বলে মন্তব্য করেন বিচারপতিরা। এই রায়ের পরপরই তড়িঘড়ি করে আপিল করেছে ট্রাম্প প্রশাসন, যার ফলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ভোক্তা ও ব্যবসার উপর চাপ
ট্রাম্পের সময় চালু হওয়া আমদানি শুল্কের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্যের দাম বেড়ে গিয়েছিল উল্লেখযোগ্য হারে। ছোট-বড় সব ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং সাধারণ জনগণ এই সিদ্ধান্তে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন। আদালতের রায়কে অনেকে স্বস্তির নিঃশ্বাস হিসেবে দেখলেও, আপিলের কারণে এখনই এই ট্যারিফ বাতিল হচ্ছে না, ফলে অনিশ্চয়তা থেকে যাচ্ছে।
বিশ্ব অর্থনীতিতেও প্রভাব
এই আমদানি শুল্ক শুধু যুক্তরাষ্ট্রে নয়, গোটা বিশ্ব অর্থনীতিতেই প্রভাব ফেলেছে। বিশেষ করে চীন ও ইউরোপীয় দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্যিক উত্তেজনা বাড়িয়ে তোলে এই সিদ্ধান্ত। তাই আপিলের ফলে এই দীর্ঘমেয়াদী ট্যারিফ যুদ্ধ আরও দীর্ঘায়িত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এখন কী হতে পারে?
ফেডারেল আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ট্রাম্প প্রশাসনের তড়িঘড়ি করা আপিল স্পষ্ট করছে যে, তাঁরা এই সিদ্ধান্তে স্থায়ী পরিবর্তন আনতে প্রস্তুত নন। যদি উচ্চ আদালতেও রায় একই থাকে, তবে ট্যারিফ বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে, আপিল যদি ট্রাম্পের পক্ষেই যায়, তাহলে নতুন করে আমদানি শুল্ক কার্যকর রাখতে আইনি বৈধতা পাবে তাঁর নীতি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই আইনি লড়াই কেবল যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ অর্থনীতি নয়, বৈশ্বিক বাণিজ্য কাঠামোকেও নতুন করে নাড়া দিতে পারে।