বিশ্বজুড়ে মার্কিন দূতাবাসগুলিকে এক ঝটকায় সাক্ষাৎকার বন্ধের নির্দেশ দিলেন মার্কিন বিদেশমন্ত্রী মার্কো রুবিও। ব্লুমবার্গের একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, শিক্ষার্থী ও এক্সচেঞ্জ ভিসার নতুন কোনও সাক্ষাৎকারের সময়সূচি আপাতত প্রকাশ করা যাবে না। অর্থাৎ, যাঁরা এখন আবেদন করবেন, তাঁদের সাক্ষাৎকারের কোনও নির্ধারিত তারিখ মিলবে না।
ট্রাম্প প্রশাসনের কড়া নজরদারি
সূত্রের দাবি, ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন ভিসা পর্যালোচনার অংশ হিসেবেই এই সিদ্ধান্ত। এখন থেকে আবেদনকারীদের সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলও খতিয়ে দেখা হবে। এমনকি যদি প্রশাসনের মন মতো না হয়, তবে সাক্ষাৎকারের সুযোগও নাও মিলতে পারে। এই পদক্ষেপ কার্যত আমেরিকার উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখা হাজার হাজার শিক্ষার্থীর কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে।
নতুন নির্দেশ কার্যকর, পুরনো অ্যাপয়েন্টমেন্ট বহাল
রুবিও জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই নির্ধারিত সাক্ষাৎকারগুলি নেওয়া যাবে, তবে নতুন করে আর কাউকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট দেওয়া যাবে না। শুধু স্টুডেন্ট ভিসা নয়, বন্ধ থাকবে এক্সচেঞ্জ ভিসিটর ভিসার সাক্ষাৎকারও। কবে আবার প্রক্রিয়া শুরু হবে, তার কোনও ইঙ্গিতও মেলেনি।
বিদেশি পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে অভিযোগ
সম্প্রতি ট্রাম্প প্রশাসনের তরফে দাবি করা হয়েছে, আন্তর্জাতিক পড়ুয়ারা নাকি আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ‘ইহুদি-বিরোধী’ ও ‘আমেরিকা-বিরোধী’ পরিবেশ তৈরি করছে। এই কারণেই কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। শুধু পড়ুয়াদের নয়, এমন শিক্ষার্থীদের স্থান দেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকেও চাপের মুখে ফেলা হচ্ছে।
শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ ঘিরে অনিশ্চয়তা
বিশ্বজুড়ে লক্ষ লক্ষ উচ্চশিক্ষা প্রার্থী আমেরিকাকে তাঁদের স্বপ্নের গন্তব্য হিসেবে দেখে থাকেন। এই নতুন সিদ্ধান্ত তাঁদের সামনে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। বিশেষ করে যাঁদের কাছে আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার অফার ইতিমধ্যেই এসেছে, তাঁদের দুশ্চিন্তা চরমে।
এই পরিস্থিতি কতদিন চলবে, কিংবা আদৌ কি সহজ হবে আবারও ভিসা পাওয়া—এই প্রশ্নগুলো এখন ঘুরছে লক্ষ শিক্ষার্থীর মনে।