গত ২০ অগাস্ট, মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে এই প্ল্যানটি আর পাওয়া যাচ্ছে না। এতদিন পর্যন্ত, এই প্ল্যানটির আওতায় গ্রাহকরা প্রতিদিন ১ জিবি করে হাই-স্পিড ডেটা, আনলিমিটেড ভয়েস কল এবং দৈনিক ১০০টি SMS-এর সুবিধা পেতেন। এই প্ল্যানটি সাধারণ মানুষের মধ্যে অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিল। বিশেষ করে, যাঁরা কম খরচে ডেটা ও কলের সুবিধা চাইতেন, তাঁদের জন্য এটি ছিল একটি আদর্শ বিকল্প। তবে Airtel-এর এই সিদ্ধান্তে বহু গ্রাহক এখন হতাশ। টেলিকম বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশের মোবাইল ব্যবহারকারীদের আরও বেশি দামি প্ল্যানের দিকে ঠেলে দেওয়ার জন্যই এই পদক্ষেপ।
একই পথে হেঁটেছে অন্য সংস্থা
আর্থিক বিশ্লেষকদের মতে, Airtel-এর এই সিদ্ধান্তটি মোটেও বিচ্ছিন্ন কোনও ঘটনা নয়। এর আগে, আরেকটি বড় টেলিকম সংস্থাও তাদের ২৪৯ টাকার প্ল্যানটি বন্ধ করে দিয়েছিল। এর ফলে, দুটি শীর্ষ সংস্থা একই ধরনের কৌশল অবলম্বন করছে বলে মনে করা হচ্ছে। টেলিকম বাজারে এখন low-cost entry-level প্ল্যানগুলি ধীরে ধীরে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। এটি একটি নতুন ট্রেন্ড-এর ইঙ্গিত দিচ্ছে। এখনকার ফোকাস, কম মূল্যের প্ল্যান থেকে গ্রাহকদের সরিয়ে, অপেক্ষাকৃত বেশি দামের প্ল্যানগুলিতে নিয়ে আসা। এর ফলে, গ্রাহকদের base costs বা ন্যূনতম খরচ অনেকটাই বেড়ে যাবে।
গ্রাহকদের উপর কী প্রভাব পড়বে?
Airtel-এর এই প্ল্যানটি বন্ধ করে দেওয়ায়, এখন গ্রাহকদের দৈনিক ১ জিবি ডেটার জন্য আরও বেশি টাকা খরচ করতে হবে। বর্তমানে, Airtel-এর অন্যান্য প্ল্যানগুলির দাম এই প্ল্যানের থেকে কিছুটা বেশি। ফলে, গ্রাহকদের এখন হয় আরও বেশি ডেটা প্যাক কিনতে হবে অথবা অন্য কোনো বিকল্প প্ল্যান বেছে নিতে হবে, যা আগের প্ল্যানের তুলনায় অনেকটাই ব্যয়বহুল। টেলিকম শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা মনে করছেন, এই প্রবণতা চলতে থাকলে ভবিষ্যতে ডেটা ও কলের খরচ আরও বাড়তে পারে। এটি কেবল Airtel-এর একটি একক সিদ্ধান্ত নয়, বরং পুরো টেলিকম ইন্ডাস্ট্রির একটি নতুন pricing strategy-র প্রতিফলন।
ভবিষ্যতের ইঙ্গিত
এই ধরনের ঘটনা থেকে এটা স্পষ্ট যে, টেলিকম সংস্থাগুলি এখন তাদের revenue বা আয় বাড়ানোর উপর জোর দিচ্ছে। কম দামের প্ল্যানগুলি সরিয়ে দিয়ে, তারা নতুন গ্রাহকদের জন্য high-value প্ল্যানগুলিকেই একমাত্র বিকল্প হিসেবে রাখছে। বিশ্লেষকরা মনে করেন, এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ। আগামী দিনে আরও কিছু পুরোনো এবং কম দামের প্ল্যান বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এর ফলে, মোবাইল রিচার্জের খরচ সামগ্রিকভাবে বাড়বে, যা সাধারণ মানুষের পকেটে চাপ ফেলবে।