বর্ষা ঢুকেছে ঠিকই, কিন্তু তার মেজাজ বেশ খামখেয়ালি। কোথাও আকাশ কালো করে আসে বৃষ্টি, আবার কোথাও ঝলমলে রোদে হাঁসফাঁস করছে জনজীবন। এই অবস্থায় ১৮ জুন, বুধবার রাজ্যজুড়ে কেমন থাকবে আবহাওয়া? আলিপুর আবহাওয়া দফতরের সর্বশেষ পূর্বাভাস অনুযায়ী, আজকের দিনটা উত্তেজনার কমতি রাখছে না।
কলকাতা ও আশেপাশে
রাজ্যের রাজধানী কলকাতা এবং শহরতলিতে সকাল থেকেই থাকতে পারে আংশিক মেঘলা আকাশ। দুপুরের দিকে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছে না হাওয়া অফিস। রোদের ফাঁকে ফাঁকে ঝলকে যেতে পারে এক পশলা বৃষ্টি। ভ্যাপসা গরম কিছুটা কমলেও আদ্রতার কারণে অস্বস্তি থাকবেই।
আনুমানিক তাপমাত্রা
• সর্বোচ্চ: ৩৩°C
• সর্বনিম্ন: ২৭°C
• আপেক্ষিক আর্দ্রতা: ৭৫%–৯২%
দক্ষিণবঙ্গ
পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম—এই জেলাগুলিতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দমকা হাওয়াও বইতে পারে ঘণ্টায় ৩০–৪০ কিমি বেগে। কৃষকদের জন্য বিশেষ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। হুগলি, হাওড়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার কিছু অংশে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। তবে দিনভর মেঘলা আবহাওয়া থাকার সম্ভাবনা থাকছে।
উত্তরবঙ্গ
দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার—উত্তরবঙ্গের বেশিরভাগ জেলাতেই মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। পাহাড়ি এলাকায় ধসের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না আবহাওয়াবিদরা। পর্যটকদের বিশেষভাবে সতর্ক থাকার আবেদন করা হয়েছে।
সমুদ্র উপকূল
দিঘা, মন্দারমণি, শঙ্করপুর উপকূলে জেলেদের জন্য লাল সতর্কতা জারি হয়েছে। আজ সমুদ্র উত্তাল থাকবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বজ্রবিদ্যুৎ ও সতর্কতা
রাজ্যের একাধিক জেলায় আজ বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকায় ঘরের বাইরে কাজ করার সময় সাবধানতা অবলম্বন করার অনুরোধ করা হয়েছে। চাষের জমিতে যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের দুপুরের পর বাইরে না থাকার পরামর্শ।
এই বুধবার আবহাওয়া যেন এক চরম দ্বন্দ্ব। কোথাও রোদের দাপট, কোথাও আবার বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়-বৃষ্টি। যারা কাজে বাইরে বেরোচ্ছেন, ছাতা ও প্রয়োজনীয় সাবধানতা অবশ্যই রাখুন। কারণ প্রকৃতির মেজাজে হঠাৎ বদল যে কোনও মুহূর্তেই ঘটতে পারে।