বিরোধীদের কটাক্ষের মাঝেই উন্নয়নের খতিয়ান সামনে আনতে চলেছেন ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার, ২৫ জুন সাতগাছিয়ায় একটি বিশাল জনসভায় তিনি তুলে ধরবেন তাঁর ১১ বছরের সাংসদ জীবনের কাজের হিসেব।
ডায়মন্ড হারবার মডেল: শুধু কথা নয়, প্রমাণে ভরপুর
২০১৪ সালে প্রথমবার সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে অভিষেকের কর্মপরিকল্পনার প্রধান ভিত্তি ছিল ‘ডায়মন্ড হারবার মডেল’। তাঁর দাবি, এই মডেল শুধু ডায়মন্ড হারবারেই নয়, দেশের অন্যান্য লোকসভা কেন্দ্রেও অনুকরণীয় হয়ে উঠেছে। সার্বিক উন্নয়ন প্রকল্পে ইতিমধ্যেই ৫ হাজার কোটির বেশি টাকা ব্যয় হয়েছে বলে জানা গেছে। এই অর্থে সেতু, রাস্তা, স্বাস্থ্য পরিষেবা, শিক্ষা ও যুব কল্যাণ কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে।
‘সেবাশ্রয়’: মানুষের দরজায় স্বাস্থ্য পরিষেবা
উল্লেখযোগ্য প্রকল্পের মধ্যে অন্যতম ‘সেবাশ্রয়’। এই উদ্যোগের মাধ্যমে সাতটি বিধানসভায় একাধিক স্বাস্থ্য শিবির আয়োজিত হয়েছে, যেখানে লক্ষাধিক মানুষ বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধ পেয়েছেন। অভিষেক জানিয়েছেন, “এটা একটা দৃষ্টান্ত তৈরি করেছে যেখানে মানুষ সরকারি সেবা পান তাঁদের নিজের এলাকায়, ছুটোছুটি ছাড়াই।”
নতুন মোড়কে রিপোর্ট: ‘নিঃশব্দ বিপ্লব’ নামে প্রকাশ
এই বছর প্রথমবার তাঁর সম্পূর্ণ কাজের রিপোর্ট বই আকারে প্রকাশিত হচ্ছে। নাম রাখা হয়েছে—‘নিঃশব্দ বিপ্লব’। বইটিতে ২০১৪ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত প্রতিটি প্রকল্প, বাজেট বরাদ্দ এবং সম্পাদিত কাজের বিস্তারিত বিবরণ থাকবে। এই রিপোর্ট সভায় সরাসরি বিতরণ করা হবে জনসাধারণের হাতে। ফলে স্বচ্ছতা ও দায়িত্বজ্ঞানকে সামনে রেখেই এই উদ্যোগ বলে মনে করছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
রেকর্ড জয়, তার পর জনসংযোগে গতি
২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রেকর্ড সংখ্যক ভোটে জয়ী হয়েছেন। এই সাফল্যের পরে জনসংযোগ এবং উন্নয়নমূলক খতিয়ান একত্রে তুলে ধরার উদ্যোগকেই রাজনৈতিক মহলে দেখা হচ্ছে ২০২৬-এর লক্ষ্য হিসেবে।
বিরোধীদের কটাক্ষে কী বলছেন অভিষেক?
এই উন্নয়ন অনুষ্ঠান নিয়েও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিরোধীরা। তাঁদের দাবি, “দেখানোর চেষ্টা চলছে বেশি, কাজে কম।” তবে অভিষেকের বক্তব্য, “যাঁরা বলছেন কিছু হয়নি, তাঁদের আমন্ত্রণ জানাই সাতগাছিয়ায় এসে রিপোর্ট হাতে নিয়ে দেখে যান।”