আজ, শুক্রবার ডিএ মামলায় ফের শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টে। বিচারপতি সঞ্জয় করোল এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলার শুনানি করবেন। রাজ্যের লক্ষাধিক সরকারি কর্মী এই মামলার দিকে তাকিয়ে রয়েছেন, কারণ আজকের শুনানিতেই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্ট অবস্থান জানা যেতে পারে।
বুধবার সুপ্রিম কোর্ট কী বলেছিল?
গত ১৪ মে, বুধবার এই মামলার আগের শুনানি হয়। তখন সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যের আইনজীবীকে মৌখিকভাবে পরামর্শ দেয়, বকেয়া ডিএর অন্তত ৫০ শতাংশ মিটিয়ে দিতে। তবে সেটি কোনও লিখিত নির্দেশ নয়, ছিল একপ্রকার আদালতের ইঙ্গিত।
কিন্তু সেদিনই শুনানি শেষ হয়নি। মামলাটি স্থগিত করে শুক্রবার পর্যন্ত সময় দেওয়া হয় রাজ্যকে, যাতে তারা নিজেদের অবস্থান আরও ভালোভাবে তুলে ধরতে পারে।
সুপ্রিম কোর্টের আগের পর্যবেক্ষণ
শীর্ষ আদালত ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে, এই মামলায় শুধু একটি নির্দেশ নয়, বরং বিস্তারিতভাবে সব দিক বিচার করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কারণ এর প্রভাব রয়েছে বিপুল সংখ্যক কর্মচারীর উপর।
রাজ্য এতদিন ধরে দাবি করে এসেছে, কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়া সম্ভব নয় রাজস্ব সংকটের কারণে। তবে কর্মচারী সংগঠনগুলো বলছে, এটা শুধু আইনি অধিকার নয়, ন্যায্য দাবিও।
আজকের শুনানির গুরুত্ব কতটা?
আজকের শুনানিতে রাজ্য যদি সুপ্রিম কোর্টের মৌখিক পরামর্শ মানে এবং ৫০ শতাংশ বকেয়া ডিএ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়, তা হলে অনেক কর্মচারীর দীর্ঘদিনের চাপ কিছুটা হলেও কমবে। তবে যদি রাজ্য তা না করে, তাহলে আদালত কী কঠোর অবস্থান নেয়, সেটা কতটা গুরুত্বপূর্ণ তাই দেখার।
কী বলছেন কর্মচারীরা?
সরকারি কর্মচারীরা স্পষ্ট জানাচ্ছেন, এবার রাজ্যকে স্পষ্ট সিদ্ধান্ত জানাতে হবে। নাহলে আন্দোলন আরও জোরদার হবে বলেই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কর্মী সংগঠনের একাধিক নেতা।
উল্লেখ্য, ডিএ মামলা ক্রমেই একটি সামাজিক ও রাজনৈতিক ইস্যু হয়ে উঠেছে। আজকের শুনানিতে যদি কোনও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হয়, তবে তা বহু মানুষের জীবনে বড় প্রভাব ফেলবে। এখন শুধু অপেক্ষা সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ ও রাজ্যের প্রতিক্রিয়া কি হয় তা নিয়ে।