রথযাত্রার ঢাক পড়তে না পড়তেই দিঘা যেন নতুন করে প্রাণ ফিরে পেল। রাজ্যের অন্যতম সমুদ্রকেন্দ্রিক পর্যটন শহরে জগন্নাথদেবের রথ ঘিরে সাজো সাজো রব। তার মধ্যেই জল্পনা—বুধবার দিঘায় পা রাখতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশাসনিক তৎপরতাও পৌঁছেছে চূড়ান্ত পর্যায়ে।
রথের তোড়জোড়ে উৎসবের আবহ
পুরীর ধাঁচে নির্মিত দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে প্রতি বছর রথযাত্রা ঘিরে জমে ওঠে ভক্তদের ভিড়। এ বারও ব্যতিক্রম নয়। সকাল থেকেই মন্দির চত্বরে চলছে রথ তৈরির কাজ, শেষ মুহূর্তের রং, কাপড়ে সাজানো হচ্ছে কাঠের বিশাল রথটিকে। স্থানীয়দের মতে, বিগত কয়েক বছরের মধ্যে এ বার আয়োজন আরও বড় আকার নিচ্ছে।
মুখ্যমন্ত্রীর সফর এবং প্রশাসনিক প্রস্তুতি
সূত্রের খবর, বুধবার দিঘায় পৌঁছতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশাসনের একাধিক স্তরে চলছে প্রস্তুতি—পর্যাপ্ত নিরাপত্তা, যানবাহন নিয়ন্ত্রণ এবং রাস্তাঘাট পরিষ্কার রাখার কাজ শুরু হয়েছে সোমবার থেকেই। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর সফরকে কেন্দ্র করে পুলিশ, পর্যটন দফতর এবং স্থানীয় পুরসভা যৌথভাবে কাজ করছে। মন্দির এলাকা, হেলিপ্যাড ও রাস্তাঘাটে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। দিঘার হোটেল-মোটেলগুলিতে ইতিমধ্যেই বুকিং বেড়েছে। পর্যটন ব্যবসায়ীদের মতে, মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতি এবং রথযাত্রার মিলিত প্রভাব দিঘার অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। স্থানীয় ব্যবসায়ী গোপাল জানা বলেন, “রথযাত্রা মানেই দিঘায় লোকসমাগম। তার উপর মুখ্যমন্ত্রী এলে নিরাপত্তা থেকে শুরু করে অবকাঠামোয় পরিবর্তন হয়। এতে পর্যটকদের সুবিধা বাড়ে।”
নিরাপত্তা ও ভিড় সামলাতে কড়া নজর
সমুদ্রতট, মন্দির এলাকা ও শহরের প্রবেশপথে মোতায়েন থাকবে অতিরিক্ত পুলিশ। সিসিটিভি ক্যামেরা ও ড্রোন ব্যবহার করে নজরদারি চালানো হবে বলে জানা গেছে। এছাড়া প্রশাসনের তরফে স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়োগ ও চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রস্তুত রাখা হয়েছে।