Bengal Crime News : রবিবার রাতে উত্তপ্ত হয়ে উঠল হৃদয়পুরের এক বহুতল আবাসন। রক্ষণাবেক্ষণের টাকা চাইতে গিয়ে একাধিক মহিলা শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে এক হোমিওপ্যাথ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। ঘটনায় অভিযুক্ত চিকিৎসক ও তাঁর ভাইকে আটক করেছে পুলিশ।
চার বছরের বকেয়া, অভিযোগের কেন্দ্রে চিকিৎসক
উত্তর ২৪ পরগনার হৃদয়পুর স্টেশন সংলগ্ন একটি বহুতল আবাসনে চেম্বার করে দীর্ঘদিন ধরে প্র্যাকটিস করছিলেন তরুণ মন্ডল নামে এক হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক। অভিযোগ, সেই আবাসনের একটি ফ্ল্যাটে থাকলেও গত চার বছর ধরে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কোনও টাকা দেননি তিনি। অথচ আবাসনের সমস্ত কমন সুবিধা—লিফট, পানীয় জল, আলো—সবই ব্যবহার করেছেন। আবাসিকদের দাবি, বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও তিনি বকেয়া মেটাতে রাজি হননি। বরং টাকা চাইতে গেলেই বিভিন্ন সময় হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।
টাকা চাইতে গিয়ে শ্লীলতাহানি, চরমে ক্ষোভ
রবিবার রাতে ওই আবাসনের কয়েকজন মহিলা সরাসরি তরুণবাবুর চেম্বারে যান টাকা চাওয়ার জন্য। তখনই উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়। অভিযোগ, চিকিৎসক তাঁদের ধাক্কা দিয়ে বের করে দেন এবং অশালীন অঙ্গভঙ্গি করেন। শুধু তাই নয়, তাঁর ভাই নাকি হুমকি দেন, বলার চেষ্টা করেন যে “নবান্নে পরিচিত আছে”, প্রয়োজনে বড়সড় বিপদে পড়তে পারেন তাঁরা। ঘটনাটি জানাজানি হতেই আবাসনের বাসিন্দারা ক্ষুব্ধ হয়ে চিকিৎসকের চেম্বারের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।
পুলিশি হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে
ঘটনার খবর পেয়ে বারাসাত থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। আবাসিকদের শান্ত করে পুলিশ তরুণ মন্ডল ও তাঁর ভাইকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। তবে চিকিৎসক সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, তাঁকে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানো হয়েছে, এবং ঘটনার কোনও সত্যতা নেই। পুলিশ এখন আবাসনের সিসিটিভি ফুটেজ ও প্রতিবেশীদের বয়ান খতিয়ে দেখে তদন্ত শুরু করেছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে একাধিক ধারায় মামলা রুজু হতে পারে বলে সূত্রের খবর।