TRENDS
হঠাৎ বৃষ্টিতে ভিজে গেল ল্যাপটপ? কী করবেন এখনই জেনে নিন
সাধ্যের মধ্যে সাশ্রয়ী বাইক খুজছেন! রইল ১ লাখের কমে সেরা কিছু সন্ধান

TMC Alifa Ahmed Win : কালীগঞ্জে বিপুল ব্যবধানে জয়ী তৃণমূল, বিজেপি–কংগ্রেস কত নম্বরে?

কালীগঞ্জ উপনির্বাচনে রেকর্ড ব্যবধানে জয় পেলেন তৃণমূল প্রার্থী আলিফা আহমেদ। বিজেপি ও কংগ্রেস অনেক পিছনে। এক লক্ষেরও বেশি ভোট পেয়ে ভাঙলেন প্রয়াত স্বামী নাসিরুদ্দিন আহমেদের রেকর্ড।

Debapriya Nandi Sarkar

TMC Alifa Ahmed Win : কালীগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনে রেকর্ড জয় পেল তৃণমূল কংগ্রেস। প্রয়াত বিধায়ক নাসিরুদ্দিন আহমেদের স্ত্রী আলিফা আহমেদ বিপুল ব্যবধানে জিতে বিজেপি ও কংগ্রেসকে পিছনে ফেলে দিয়েছেন। শুধু জয় নয়, এই জয়ে ভেঙেছে অতীতের ভোটের ব্যবধানের রেকর্ডও।

Advertisements
Whatsapp-color Created with Sketch. গুরুত্বপূর্ণ খবর পেতে এখনই যুক্ত হোন 👉🏻
Join Now

ভোটের ব্যবধান নজরকাড়া

তৃণমূল প্রার্থী আলিফা আহমেদ পেয়েছেন মোট ১,০২,১৭৯ ভোট, যা তাঁর স্বামী তথা প্রাক্তন বিধায়ক নাসিরুদ্দিন আহমেদের আগের ভোটের থেকেও অনেক বেশি। তিনি জয়ী হয়েছেন ৪৯,৭৫৫ ভোটের ব্যবধানে, যা এই কেন্দ্রের ইতিহাসে অন্যতম বৃহৎ ব্যবধান হিসেবে ধরা হচ্ছে।

বিজেপি ও কংগ্রেস কোথায় দাঁড়িয়ে?

এই উপনির্বাচনে দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন বিজেপি প্রার্থী আশিস ঘোষ, যাঁর প্রাপ্ত ভোট ৫২,৪২৪। গতবারের তুলনায় বিজেপি ভোটে পিছিয়ে পড়েছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তৃতীয় স্থান অধিকার করেছেন কংগ্রেসের কাবিলউদ্দিন শেখ, যিনি বামেদের সমর্থনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তাঁর প্রাপ্ত ভোট ২৮,২৬২
এছাড়াও নোটা (NOTA) ভোট পড়েছে প্রায় ২,৫০০। এই ফলাফলে স্পষ্ট, তৃণমূলের সংগঠন ও প্রার্থী নির্বাচনের কৌশল এই উপনির্বাচনে কার্যকর হয়েছে। অন্যদিকে বিজেপি ও কংগ্রেসের ভোট ভাগাভাগি তৃণমূলের জয়কে আরও সহজ করে দেয় বলে মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।

Whatsapp-color Created with Sketch. সেরা খবরগুলো মোবাইলে পেতে এখনই যুক্ত হোন👉🏻
Join Now

জয়ের প্রতিক্রিয়ায় আবেগঘন মমতা

জয়ের পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘এক্স’ হ্যান্ডেলে লেখেন, এই জয় বাংলার মা-মাটি-মানুষের। প্রয়াত বিধায়ক নাসিরুদ্দিন আহমেদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি এই জয় উৎসর্গ করেন সাধারণ মানুষকে। তাঁর বার্তায় ছিল সংগঠনের তৃণমূল স্তরে থাকা কর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা, যাঁরা প্রচারে দিনরাত এক করেছেন।

এই জয় শুধু একটি আসনের দখল নয়, বরং লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের জনভিত্তি যে এখনও অটুট, তার একটি স্পষ্ট বার্তা বলেই মনে করছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। অন্যদিকে বিজেপি এবং কংগ্রেসের ভরাডুবি ফের একবার প্রশ্ন তুলেছে তাঁদের নির্বাচনী কৌশল এবং সংগঠনের উপর। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এই কেন্দ্রে বিরোধীদের সংগঠন দুর্বল, আর তৃণমূলের প্রতি দীর্ঘস্থায়ী আস্থাই আলিফার জয়ের মূল চাবিকাঠি।