Sealdah-Krishnanagar AC Local : শিয়ালদহ-রানাঘাট শাখার হাজার হাজার যাত্রীর জন্য সুখবর। শিয়ালদহ থেকে কৃষ্ণনগর রুটে চালু হল নতুন এসি লোকাল ট্রেন। দীর্ঘদিন ধরেই অফিসযাত্রী এবং দূরত্বপালনকারী যাত্রীরা এই রুটে অতিরিক্ত আরামদায়ক পরিষেবার দাবি জানিয়ে আসছিলেন। এবার রেল কর্তৃপক্ষ সেই দাবি মেটাল শীততাপ নিয়ন্ত্রিত লোকাল ট্রেন চালু করে। যাত্রীরা বলছেন—“এত কম ভাড়ায় এমন আরাম, আগে ভাবাই যায়নি!”
কবে থেকে চলছে ট্রেন? সময়সূচি ও যাত্রার বিবরণ
এই এসি লোকাল চালু হয়েছে ২১ জুন ২০২৫ থেকে। সপ্তাহে ছয় দিন (সোমবার থেকে শনিবার) পরিষেবা মিলবে। রবিবার ট্রেন বন্ধ থাকবে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য। নতুন এই ট্রেনটি প্রতিদিন সকাল ৯:৫২ মিনিটে শিয়ালদহ স্টেশন থেকে ছাড়ে এবং কৃষ্ণনগর পৌঁছায় ১১:৫২ মিনিটে। এরপর ফিরে আসার সময় ট্রেনটি কৃষ্ণনগর থেকে রওনা হয় ১২:২৫ মিনিটে এবং ২:২০ মিনিটে পৌঁছায় শিয়ালদহে। যাতায়াতের জন্য প্রায় ২ ঘণ্টা সময় লাগে, যা এই দূরত্বের ক্ষেত্রে অত্যন্ত যুক্তিসঙ্গত। এই ট্রেনটি শুধু গতি নয়, গুণমানেও দিচ্ছে প্রশংসনীয় পরিষেবা। ঠান্ডা কামরায় যাত্রা করে আরাম ও ক্লান্তিহীন যাত্রা এখন আর স্বপ্ন নয়।
কোথায় কোথায় থামে এই এসি লোকাল?
যাত্রাপথে মোট ১৫টি গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন রয়েছে যেখানে থামে এই এসি লোকাল। এর মধ্যে কয়েকটি স্টেশন হলো:
-
দমদম
-
সোদপুর
-
নৈহাটি
-
কল্যাণী
-
শ্যামনগর
-
হাবরা
-
রানাঘাট
-
কৃষ্ণনগর (শেষ গন্তব্য)
এই স্টেশনগুলো দৈনিক কয়েক হাজার যাত্রীর যাতায়াতের কেন্দ্র, তাই এই রুটে এসি ট্রেন পরিষেবা নিশ্চিতভাবেই যাত্রীসংখ্যা বৃদ্ধি করবে।
ভাড়া কত?
পুরো শিয়ালদহ থেকে কৃষ্ণনগর এসি যাত্রার জন্য ভাড়া মাত্র ৫০ টাকা। অর্থাৎ, যাত্রীরা খুব স্বল্প খরচেই পাচ্ছেন এক প্রিমিয়াম মানের অভিজ্ঞতা। তুলনামূলকভাবে ভাড়াটা অনেকটাই কম, যা সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যেই রয়েছে।
যাত্রীদের প্রতিক্রিয়া
প্রথম দিন থেকেই যাত্রীদের মধ্যে এই ট্রেন নিয়ে উৎসাহ চোখে পড়ার মতো। অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন—“অফিস যাওয়ার সময় ঠান্ডা কামরায় যাত্রা সত্যিই স্বস্তিদায়ক।” আরও অনেকে বলছেন, “রোজ ভিড় ঠেলে যেতে হত। এখন এই এসি ট্রেনটা আমাদের প্রাত্যহিক যাত্রার অভিজ্ঞতা বদলে দিচ্ছে।”
রেলের বক্তব্য
রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যাত্রীদের চাহিদা অনুযায়ী এই রুটে আরও বেশি এসি ট্রেন বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। পাশাপাশি, অন্য রুটেও এমন পরিষেবা চালুর প্রস্তুতি চলছে। তবে সেসব নির্ভর করছে এই ট্রেনের যাত্রীসংখ্যা ও প্রতিক্রিয়ার ওপর।
লোকাল ট্রেন যাত্রার অভিজ্ঞতা বদলাতে চলেছে এই নতুন পদক্ষেপ। ট্রেনের ঠান্ডা কামরা, সময়মতো পরিষেবা ও কম ভাড়া—সব মিলিয়ে রেলের এই পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে সাধুবাদযোগ্য। যাত্রীদের জন্য স্বস্তি, আর রেলের জন্য একটি সাহসী পদক্ষেপ—এই ট্রেন হতে পারে শহরতলি যাত্রার নতুন মাইলফলক।