TRENDS
হঠাৎ বৃষ্টিতে ভিজে গেল ল্যাপটপ? কী করবেন এখনই জেনে নিন
সাধ্যের মধ্যে সাশ্রয়ী বাইক খুজছেন! রইল ১ লাখের কমে সেরা কিছু সন্ধান

West Bengal election 2025 : নজরে ভোট, নজরদারিতে কমিশন — লাইভ ক্যামেরায় কড়া পর্যবেক্ষণের প্রস্তুতি

২০২৫ বিধানসভা নির্বাচনে স্বচ্ছতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশন রাজ্যের প্রতিটি বুথে লাইভ স্ট্রিমিং, টহল গাড়িতে নজরদারি ক্যামেরা এবং বুথে সীমিত ভোটার প্রবেশের মতো পদক্ষেপ নিচ্ছে। বিস্তারিত পড়ুন এই প্রতিবেদনে।

Debapriya Nandi Sarkar

West Bengal election 2025 : ভোটাররা লাইন দিয়ে বুথে ঢুকছেন। বাইরে টহল গাড়িতে চোখ রাখা যাচ্ছে সরাসরি কমিশনের কন্ট্রোল রুম থেকে। শুধু বুথ নয়, বুথের বাইরে, নিরাপত্তা বাহিনীর চলাফেরা—সবই এবার নির্বাচন কমিশনের কড়া নজরদারির আওতায়। আসন্ন রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে সময়োপযোগী ও স্বচ্ছ করতে একাধিক প্রযুক্তিনির্ভর ব্যবস্থা চালু করতে চাইছে নির্বাচন কমিশন। সূত্রের খবর, প্রতিটি বুথের ভিতরে ও বাইরে লাইভ স্ট্রিমিং চালু করা হবে। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রতিটি টহল গাড়িতে থাকবে পৃথক ব্যাটারি চালিত ‘ভেহিকল-মাউন্টেড ক্যামেরা’। এতে গাড়ির গতিবিধিও সরাসরি মনিটর করা যাবে কমিশনের পক্ষ থেকে।

Advertisements
Whatsapp-color Created with Sketch. গুরুত্বপূর্ণ খবর পেতে এখনই যুক্ত হোন 👉🏻
Join Now

একসঙ্গে মাত্র চারজন ভোটার বুথে প্রবেশের অনুমতি

কালীগঞ্জ উপনির্বাচনে পরীক্ষামূলকভাবে এই পদ্ধতি চালু করা হয়েছিল। সেখানেই প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলক স্ট্রিমিং ব্যবস্থাকে সফল বলে বিবেচনা করেছে কমিশন। সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এবার রাজ্যজুড়ে এই ব্যবস্থা কার্যকর করতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই ১৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন হয়েছে এবং আরও বাহিনী আসবে বলে জানা যাচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বুথে যাতে বিশৃঙ্খলা না ঘটে, তার জন্য নতুন নিয়মে একসঙ্গে সর্বাধিক চারজন ভোটারকেই ঢুকতে দেওয়া হবে। ভোটগ্রহণ চলাকালীন লাইভ নজরদারি কমিশনকে যে কোনও ধরনের গোলমাল দ্রুত ধরতে সাহায্য করবে। নিরাপত্তা বাহিনীর মোতায়েন, যান চলাচল, চেকপোস্টের কাজকর্ম—সবই থাকবে কন্ট্রোল রুমের চোখে।

তৎপর কমিশন, কড়া মনিটরিংয়ে নজর রাজনৈতিক দলগুলিরও

কমিশনের এক কর্তার কথায়, “জনগণের আস্থা ফেরাতে এবং ভোটকে সত্যিকার অর্থে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করতে এই পদক্ষেপ জরুরি।” তৃণমূল, বিজেপি-সহ সব রাজনৈতিক দলই নিরাপত্তা নিয়ে নিজেদের মতো করে বক্তব্য রেখেছে আগেই। এবার কমিশনের হাতে প্রযুক্তির হাত ধরে নজরদারি আরও জোরালো রূপ নিতে চলেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই প্রযুক্তিগত ব্যবস্থা নির্বাচনের স্বচ্ছতা বৃদ্ধির পাশাপাশি ভোটারদের মনেও নিরাপত্তার আস্থা তৈরি করবে। একাধারে ভোটের প্রতিটি স্তরে নজরদারি যেমন কড়া হচ্ছে, তেমনি ভোটদানের পরিবেশও শান্তিপূর্ণ রাখতে সহায়ক হবে। তবে এই পদক্ষেপ কতটা কার্যকর, তা জানা যাবে বাস্তব পরিস্থিতিতে। কমিশনের লক্ষ্য একটাই—গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা।

Whatsapp-color Created with Sketch. সেরা খবরগুলো মোবাইলে পেতে এখনই যুক্ত হোন👉🏻
Join Now