দীর্ঘ আইনি লড়াই, আন্তর্জাতিক চাপে অবশেষে ভারতের সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে উঠল ‘সবচেয়ে বড় মাছ’। ২০০৮ সালের মুম্বাই হামলার অন্যতম মূলচক্রী তাহাউর রানাকে অবশেষে আমেরিকা থেকে ভারতে প্রত্যার্পণ করা হয়েছে।
সে-ই দেখিয়েছিল: কোথায় মারবে, কাদের মারবে
তাহাউর রানা শুধু একজন ষড়যন্ত্রকারী নয়—সে-ই ছিল সেই শয়তান, যে ২৬/১১-র ভয়াবহ নৃশংসতায় হাফিজ সাঈদ ও ডেভিড হেডলির সঙ্গে মিলে হামলাকারীদের নির্দেশ দিয়েছিল। কোন ঘরে ঢুকতে হবে, কোন বিদেশিকে টার্গেট করতে হবে, ইসরায়েলি, জার্মান—সব ঠিক করে দিয়েছিল সে-ই। তাজ হোটেলসহ একাধিক জায়গায় বিদেশিদের টেনে এনে গুলি চালানোর পেছনে ছিল এই রানার মস্তিষ্ক।
তাহাউর রানাকে আনা মানেই একপ্রকার দাউদকে আনা
ভারতীয় গোয়েন্দাদের মতে, তাহাউর রানাকে ভারতে ফিরিয়ে আনা মানে একরকম দাউদ ইব্রাহিমকেই ধরে আনা। কারণ তার আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক, পাকিস্তান সেনার ঘনিষ্ঠতা, এবং ২৬/১১-এর মতো ভয়ঙ্কর হামলার ছক কষার ক্ষমতা—সব মিলিয়ে সে ছিল ভারতবিরোধী সন্ত্রাসের মস্তিষ্ক।
শেষ পর্যন্ত ভারতের হাতেই ধরা
মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট তার শেষ আপিল খারিজ করে দেওয়ার পর আর কোনও বাধা ছিল না। এনআইএ-র নেতৃত্বে ভারতীয় একটি বিশেষ দল যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে। আর তারপরই শুরু হয় রানাকে ভারতের মাটিতে আনার অভিযান। এখন সে এনআইএ-র হেফাজতে।
তাহাউরের গ্রেফতার ভারতীয় নিরাপত্তার নতুন যুগের সূচনা
এই প্রত্যার্পণ শুধু ২৬/১১ মামলার জন্য নয়, গোটা দেশের জন্য একটা বার্তা—সন্ত্রাসবাদ যতই দূরে থাকুক, ভারত তাকে খুঁজে বার করবে, আইনের আওতায় আনবেই।