এক সময়ে বীরভূমে তৃণমূলের অপ্রতিরোধ্য নেতা অনুব্রত মণ্ডল। এখন তিনি জেলবন্দি, তবে তাঁর প্রভাব যে একেবারেই ফুরিয়ে যায়নি, তা যেন আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গেল সম্প্রতি ঘটে যাওয়া এক ঘটনায়। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করার অভিযোগ এনেছেন বোলপুর থানার আইসি লিটন হালদার। অভিযোগ, ফোনে তাঁকে অবমাননাকর ভাষায় আক্রমণ করেন অনুব্রত।
এই অভিযোগ সামনে আসতেই বীরভূমের পুলিশ সুপার আমনদীপ জানিয়েছেন, বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে, এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
দলই দিল সময়সীমা: ৪ ঘণ্টার মধ্যে ক্ষমা চাইতে হবে
এই ঘটনার জেরে এবার তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরেও ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। দলের তরফে অনুব্রতকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে—চার ঘণ্টার মধ্যে আইসি-র কাছে লিখিতভাবে ক্ষমা চাইতে হবে, নচেত দলের তরফে কড়া অবস্থান নেওয়া হবে।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, এই আচরণ দল মেনে নিতে রাজি নয়। এমনকি দিল্লি পর্যন্ত ঘটনাটি পৌঁছে গিয়েছে বলে খবর। দলের এক শীর্ষ নেতা বলেন, “আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকা অফিসারদের এভাবে অপমান করার অধিকার কারও নেই।”
কী বলছেন পুলিশ প্রশাসনের কর্তারা?
বীরভূমের পুলিশ সুপার আমনদীপ জানিয়েছেন, “আইনি প্রক্রিয়া অনুযায়ী যা করার, তা হবে। আমরা ইতিমধ্যেই ঘটনাটি খতিয়ে দেখছি।” অর্থাৎ, দল যদি বিষয়টি রাজনৈতিকভাবে সামাল দিতেও চায়, পুলিশ প্রশাসন নিজের মতো করে আইন মেনে ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত।
অনুব্রত কী বলছেন?
এখনও পর্যন্ত অনুব্রতের তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও বক্তব্য সামনে আসেনি। তবে তাঁর ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, “ওটা একান্ত ব্যক্তিগত কথোপকথন ছিল, ভুল বোঝাবুঝি হচ্ছে।” যদিও এই ব্যাখ্যা দল ও পুলিশের কাছে যে গ্রাহ্য হচ্ছে না, তা স্পষ্ট।
তৃণমূলের অন্দরেই কি ফাটল শুরু?
এই ঘটনায় আরও একবার সামনে এল যে তৃণমূলের অভ্যন্তরে এখন আর ‘অসীম ক্ষমতার নেতাদের’ ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। দলের ভাবমূর্তি বাঁচাতে, এবং প্রশাসনিক আধিকারিকদের সম্মান রক্ষা করতে দলও কঠোর হচ্ছে।এই ঘটনার পর অনুব্রত কী করেন, এবং তিনি ক্ষমা চান কি না, সেটাই এখন দেখার।
The party unequivocally disassociates and does not endorse the comments made by Anubrata Mondal against a police officer.
We strongly condemn his use of derogatory & unacceptable abusive language.
The party hereby instructs him to tender an unconditional apology within the…
— All India Trinamool Congress (@AITCofficial) May 30, 2025