মহামারীর ছায়া যেন আবার ফিরে আসছে। কেরল, মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ—এইসব রাজ্যে ফের করোনা সংক্রমণের খবরে চিন্তিত প্রশাসন ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। মুম্বই থেকে গুরুগ্রামে ফেরা এক ব্যক্তির দেহেও মিলেছে সংক্রমণ। এরই মধ্যে পশ্চিমবঙ্গেও মিলল কোভিড আক্রান্তের খোঁজ, যা ঘুম কেড়ে নিচ্ছে চিকিৎসকদের।
বাংলাতেও করোনা! আলিপুরের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন এক মহিলা
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের খবর অনুযায়ী, চলতি মে মাসের গোড়ার দিকে আলিপুরের উডল্যান্ডস হাসপাতালে ভর্তি হন এক মহিলা। শ্বাসকষ্ট, দুর্বলতা ও অন্যান্য উপসর্গ ছিল তাঁর। পরীক্ষা করতেই জানা যায়, তিনি কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত। আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসার পর বর্তমানে তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ, তবে এই ঘটনা প্রশাসনের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে।
এবার ওমিক্রনের উপপ্রজাতি JN.1, সংক্রমণের হার বেশি
চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই নতুন তরঙ্গটি ওমিক্রনেরই একটি রূপ—JN.1। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলিতেও এর সংক্রমণ ছড়াচ্ছে দ্রুত হারে। স্মরণে থাকা ২০২২ সালের ওমিক্রন ঢেউয়ের মতোই এবারও সংক্রমণ ক্ষমতা যথেষ্ট বেশি।
বাড়াতে হবে পরীক্ষা, দরকার গাইডলাইন
চিকিৎসকরা পরামর্শ দিচ্ছেন, এখনই RTPCR টেস্টের সংখ্যা বাড়াতে হবে। রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারকে ফের নির্দিষ্ট কোভিড গাইডলাইন প্রকাশ করা উচিত, যাতে সময় থাকতেই প্রতিরোধ নেওয়া যায়। যদিও বর্তমান পরিস্থিতিকে বিশেষ উদ্বেগজনক বলা হচ্ছে না, তবে সাবধানতা বজায় রাখা আবশ্যক।
মহারাষ্ট্রে মৃত্যু, মুম্বইয়ে হাসপাতালে ভর্তি ১৬
সবচেয়ে গুরুতর খবর এসেছে মহারাষ্ট্র থেকে। সেখানে ইতিমধ্যেই ২ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনায়। মুম্বইয়ে অন্তত ১৬ জন বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি। এঁদের বেশিরভাগকে কেইএম হাসপাতাল থেকে স্থানান্তর করা হয়েছে সেভেন হিলস হাসপাতালে। এর থেকেই অনুমান করা যাচ্ছে, সংক্রমণ আবারও শক্তি বাড়াচ্ছে।
আতঙ্ক নয়, সতর্ক থাকাই এখন একমাত্র পথ
যদিও আতঙ্ক ছড়ানোর সময় এখনও আসেনি, তবু পরিস্থিতি হালকা ভাবে নেওয়ার সুযোগ নেই। মাস্ক পরা, হাত ধোয়া ও জনসমাগম এড়ানো—এই প্রাথমিক সুরক্ষা ব্যবস্থা মানলেই অনেকটাই রোখা যাবে সংক্রমণ। সাধারণ মানুষকে এখনই সতর্ক হতে হবে, কারণ সংক্রমণ আবার ‘ঘরে ঘরে’ ঢুকে পড়তে পারে, যদি সতর্ক না থাকা হয়।