তুরস্কের পাকিস্তান ঘেঁষা অবস্থান দেখে এবার কড়া বার্তা দিল ‘ফেডারেশন অফ ওয়েস্টার্ন ইন্ডিয়া সিনে এমপ্লয়িস’ (FWICE)। ভারতের জাতীয় স্বার্থের কথা মাথায় রেখে, দেশটির সিনেমা প্রযোজকদের প্রতি তাদের আবেদন—তুরস্ককে শ্যুটিং লোকেশন হিসেবে বেছে নেওয়ার আগে যেন একবার ভাল করে ভেবে দেখা হয়।
FWICE-এর তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, তাদের মূলনীতি ‘জাতি সবার আগে’। তাই কোনওভাবেই এমন দেশে গিয়ে কাজ করা ঠিক নয়, যারা ভারতের বিরোধিতা করে পাকিস্তানের পাশে দাঁড়ায়।
বহু হিট বলিউড সিনেমার শ্যুটিং হয়েছে তুরস্কে
গত কয়েক বছরে তুরস্ক হয়ে উঠেছে বলিউড পরিচালকদের পছন্দের গন্তব্য। তুলনামূলক কম খরচ, অপূর্ব লোকেশন, এবং স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় অনেক সিনেমার দৃশ্য ধারণ হয়েছে সেখানেই। তবে FWICE-এর সাম্প্রতিক বার্তার পরে সেই পছন্দের তালিকায় বড়সড় পরিবর্তন আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
ভারতের সিনে দুনিয়ায় তুরস্কের অনুপ্রবেশ বাড়ছে
শুধু সিনেমা নয়, তুরস্কের বিভিন্ন ধারাবাহিকও এখন হিন্দিতে ডাব করে ভারতের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে সম্প্রচার হচ্ছে। জনপ্রিয়তা বাড়ায় দর্শকরাও সেসব দেখে ফেলছেন চোখ বুজে। কিন্তু এখন প্রশ্ন উঠছে—এই ‘সফট পাওয়ার’-এর আড়ালে কি লুকিয়ে অন্য বার্তা?
ব্যবসায়িক মহলেও তুরস্ক বয়কটের ডাক
শুধু সিনেমা জগত নয়, তুরস্ক থেকে আপেল আমদানিও বন্ধ করতে চাইছেন মহারাষ্ট্রের একাংশ ব্যবসায়ী। মুম্বই ও পুণের বেশ কিছু ফল ব্যবসায়ী ইতিমধ্যেই তুরস্ক বয়কটের ডাক দিয়েছেন।
এবার ভারতের প্রযোজকেরা কী সিদ্ধান্ত নেবেন?
FWICE-এর এই আবেদনকে কতটা গুরুত্ব দেবেন দেশের শীর্ষ প্রযোজক-পরিচালকেরা? আবারও তুরস্কে শ্যুটিং করতে যাবেন, না কি নতুন লোকেশনের খোঁজে নামবেন—এই প্রশ্নের উত্তর দেবে সময়ই। আপাতত ভারতীয় সিনে ইন্ডাস্ট্রির পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে তাকিয়ে এখন গোটা দেশ।