TRENDS
হঠাৎ বৃষ্টিতে ভিজে গেল ল্যাপটপ? কী করবেন এখনই জেনে নিন
সাধ্যের মধ্যে সাশ্রয়ী বাইক খুজছেন! রইল ১ লাখের কমে সেরা কিছু সন্ধান

ভারতের ‘জল বোমা’ নিয়ে হুঁশিয়ারি পাক সেনেটরের! সিন্ধু চুক্তি স্থগিতেই ভয়াবহ বিপদের আশঙ্কা

সিন্ধু চুক্তি সাময়িকভাবে স্থগিত রাখার ভারতের সিদ্ধান্তে চাপে পাকিস্তান। সিনেটর সৈয়দ আলি জাফর জানিয়েছেন, এই জলসঙ্কট না মেটালে দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা রয়েছে। সিন্ধু অববাহিকার উপর নির্ভর করছে পাকিস্তানের ৯০% কৃষি ও জনজীবন।

Debapriya Nandi Sarkar

২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পরই কড়া জবাব দেয় ভারত। শুধু সীমান্ত পেরিয়ে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাই নয়, দিল্লি এবার জল-অস্ত্রও ব্যবহার করেছে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। সিন্ধু জলচুক্তি সাময়িকভাবে স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়ে কার্যত চাপে ফেলে দেওয়া হয়েছে ইসলামাবাদকে।

Advertisements
Whatsapp-color Created with Sketch. গুরুত্বপূর্ণ খবর পেতে এখনই যুক্ত হোন 👉🏻
Join Now

‘জল বোমা’ নিষ্ক্রিয় করার আরজি সেনেটে

এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের বিরোধী দল তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির সেনেটর সৈয়দ আলি জাফর আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, “এই সিদ্ধান্ত আমাদের জন্য এক ভয়ানক জল বোমা। দ্রুত নিষ্ক্রিয় না করলে দুর্ভিক্ষের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।” পাকিস্তানের সেনেটে দাঁড়িয়ে তাঁর দাবি, “দেশের ১০ জনের মধ্যে ৯ জনের জীবনধারণ নির্ভর করে সিন্ধু অববাহিকার জলের উপর।”

কৃষি, সেচ, বিদ্যুৎ—সবই জলের উপর নির্ভরশীল

সেনেটর জাফর জানিয়েছেন, পাকিস্তানের ৯০ শতাংশ কৃষিকাজই এই আন্তর্জাতিক জল প্রবাহের উপর নির্ভরশীল। দেশের অধিকাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র ও বাঁধগুলিও ওই জলের উৎস থেকেই কাজ চালায়। তাঁর মতে, যদি এই জলসঙ্কট অব্যাহত থাকে, তা হলে লক্ষ লক্ষ মানুষ খাদ্য ও পানীয় জলের অভাবে ভুগতে পারেন।

Whatsapp-color Created with Sketch. সেরা খবরগুলো মোবাইলে পেতে এখনই যুক্ত হোন👉🏻
Join Now

কী বলছে ১৯৬০ সালের সিন্ধু চুক্তি?

১৯৬০ সালে স্বাক্ষরিত সিন্ধু জলচুক্তির আওতায় পাকিস্তান সিন্ধু, ঝিলম ও চন্দ্রভাগা নদীর জল ব্যবহার করার অধিকার পায়। অন্যদিকে, ভারত ব্যবহার করে শতদ্রু, বিপাশা ও ইরাবতী নদীর জল। এই চুক্তির মাধ্যমে দুই দেশ দীর্ঘদিন ধরে একে অপরের সঙ্গে জলের ভাগাভাগি করে আসছে।তবে ভারতের অভিযোগ, পাকিস্তান তাদের মাটিতে সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে। সেই অভিযোগের জেরেই এই চুক্তি সাময়িকভাবে স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

পহেলগাঁও হামলার পর থেকেই চূড়ান্ত সংঘাত

২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা হামলা চালিয়ে ২৬ জন নিরীহ মানুষকে হত্যা করে। এরপর থেকে ভারত-পাক সম্পর্ক আরও তলানিতে গিয়ে ঠেকে। সীমান্তে বাড়ানো হয় সেনা উপস্থিতি, পরপর একাধিক জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ভারতীয় বাহিনী। এরই মধ্যে আসে জলচুক্তি স্থগিতের বার্তা।

পাকিস্তানের হুঁশিয়ারি, আন্তর্জাতিক মহলের নজর

সিন্ধু চুক্তি স্থগিতের ঘোষণার পরই পাকিস্তান আপত্তি জানিয়ে দিল্লিকে চিঠি পাঠিয়েছে। তারা দাবি করেছে, আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী ভারত একতরফা ভাবে এই সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। এখন দেখার, আন্তর্জাতিক মহল এই জলের যুদ্ধকে কীভাবে দেখে।