TRENDS
হঠাৎ বৃষ্টিতে ভিজে গেল ল্যাপটপ? কী করবেন এখনই জেনে নিন
সাধ্যের মধ্যে সাশ্রয়ী বাইক খুজছেন! রইল ১ লাখের কমে সেরা কিছু সন্ধান

সরকারি খালের ওপর দাপিয়ে চলেছে পাকা নির্মাণ! প্রশাসনের নীরবতায় ক্ষোভ ছড়াল এলাকায়

কুলতলীর মইপিট বৈকুন্ঠপুরে সরকারি খালের উপর বেআইনি কংক্রিট নির্মাণ! নেই অনুমোদন, তবুও গজিয়ে উঠছে পাকা কাঠামো। প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

Debapriya Nandi Sarkar

দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলী বিধানসভার মইপিট বৈকুন্ঠপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত শনিবারের বাজার এলাকা। এখানে একদিকে ছিমছাম গ্রামজীবন, অন্যদিকে চোখে পড়ছে এক ভয়ংকর প্রবণতা—সরকারি খালের ওপর গজিয়ে উঠছে একের পর এক পাকা কংক্রিটের ঘর। যেখানে খাল দিয়ে জল যাওয়ার কথা, সেখানে এখন জমি বুজিয়ে ঢালাই, আর তার ওপর দাঁড়িয়ে পাকা নির্মাণ! গ্রামবাসীরা রীতিমতো হতবাক।

Advertisements
Whatsapp-color Created with Sketch. গুরুত্বপূর্ণ খবর পেতে এখনই যুক্ত হোন 👉🏻
Join Now

অনুমোদন নেই, তবু অবলীলায় চলছে নির্মাণ

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, কোনওরকম সরকারি অনুমোদন ছাড়াই খালের বুকেই নির্মাণ শুরু হয়েছে। দিনের আলোয়, সবার চোখের সামনেই তৈরি হচ্ছে এইসব অবৈধ কাঠামো। অথচ কেউ বাধা দিচ্ছে না। খালটি আগে বর্ষায় এলাকার জল বের করে দিত, চাষের জমি বাঁচাত। কিন্তু এখন সেই খালই যদি দখল হয়ে যায়, তাহলে কোথায় যাবে জল? আশঙ্কা, একটু বৃষ্টি হলেই ডুবে যাবে এলাকা।

“আমরা চোখের সামনে দেখছি, তবু প্রশাসন চুপ!”

ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন বহু গ্রামবাসী। তাঁরা বলছেন, “দিনের পর দিন খালের ওপর পাকা ঘর উঠছে। আমরা দেখেও কিছু করতে পারছি না। বারবার থানায় জানিয়েছি, বিডিও অফিসেও জানিয়েছি, কিন্তু কেউ শোনেনি।”তাঁদের প্রশ্ন—“সাধারণ মানুষ একটা ঘরের অনুমতি পেতে বছর কেটে যায়। আর এখানে সরকারি খালের ওপর এইভাবে ঘর তুলছে কেউ, আর কেউ কিছু বলছে না?”

Whatsapp-color Created with Sketch. সেরা খবরগুলো মোবাইলে পেতে এখনই যুক্ত হোন👉🏻
Join Now

প্রশাসন-পুলিশের নীরবতায় প্রশ্ন

এই ঘটনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা। পুলিশ, বিডিও অফিস, পঞ্চায়েত—সব পক্ষই যেন নির্বিকার। কেউ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলেই অভিযোগ। কেউ কেউ বলছেন, রাজনৈতিক আশ্রয় না থাকলে এইরকম দখলদারি সম্ভব নয়। এই অবস্থায় সাধারণ মানুষের মনে তৈরি হয়েছে গভীর অসন্তোষ। প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও উঠছে বড় প্রশ্ন।

প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্টের আশঙ্কা

স্থানীয় পরিবেশকর্মীরা জানাচ্ছেন, খাল দখলের এমন প্রবণতা খুবই ভয়ঙ্কর। এতে যেমন জলের স্বাভাবিক প্রবাহ থমকে যাচ্ছে, তেমনই ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ছে। ফলে চাষের ক্ষতি, জমিতে জল জমা, এমনকি এলাকায় ডেঙ্গু-ম্যালেরিয়ার আশঙ্কাও বাড়ছে।

এলাকাবাসীর আবেদন: “দয়া করে ব্যবস্থা নিন”

সবশেষে, এলাকাবাসীর আবেদন একটাই—সরকার যেন অবিলম্বে এই বেআইনি নির্মাণ বন্ধ করে, খাল পরিষ্কার করে প্রকৃত অবস্থায় ফিরিয়ে আনে, না হলে আগামী বর্ষায় ভয়াবহ পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে বলেই তাঁদের আশঙ্কা।

About Author
Debapriya Nandi Sarkar
Debapriya Nandi Sarkar

আমি দেবপ্রিয়া নন্দী সরকার। ২০১৮ তে পলিটিক্যাল সাইন্স অনার্স নিয়ে বঙ্গবাসী কলেজ থেকে গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। তারপর ২০১৯ থেকে আমি কনটেন্ট রাইটার হিসেবে কাজ শুরু করি। পলিটিক্যাল, বিনোদন, লাইফ স্টাইল, আন্তর্জাতিক খবর ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ে আমার লেখার অভিজ্ঞতা রয়েছে।