আজ সকালে জামাইষষ্ঠীর দিনে খড়্গপুর শহরের গোলাবাজারের ভান্ডারীচক এলাকায় একটি কসমেটিকস দোকানে বিধ্বংসী আগুন লাগে। মুহূর্তের মধ্যেই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং সম্পূর্ণ দোকানটি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। প্রথমে সকলে ভেবেছিলেন, বুঝি কেউ কিছু পুড়োচ্ছে। কিন্তু মুহূর্তের মধ্যেই দেখা যায় ধোঁয়া ঘন হয়ে আগুনের আকার নিচ্ছে। লোকজন ছুটে যান দোকানের দিকে। তখনই স্পষ্ট বোঝা যায়, দোকানটিতে বড়সড় আগুন লেগেছে।
দমকলের ৩টি ইঞ্জিন ছুটে আসে, ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আগুন
খবর পেয়েই দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকল বিভাগের ৩টি ইঞ্জিন। দমকলকর্মীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে ততক্ষণে যা ক্ষতি হওয়ার তা হয়েই গিয়েছে। আগুনে একেবারে ভস্মীভূত হয়ে যায় একটি কসমেটিকসের দোকান। দোকানের ভেতরে থাকা প্রায় সমস্ত সামগ্রী পুড়ে ছাই।
পুড়ে ছাই দামি প্রসাধনী, মাথায় হাত দোকানদারের
যে দোকানে আগুন লাগে সেটি ছিল একটি কসমেটিকসের দোকান। চড়া দামের সুগন্ধি, ক্রিম, বিউটি প্রোডাক্ট—সবই আগুনে পুড়ে শেষ। দোকানদারের মাথায় হাত। তিনি জানান, কয়েকদিন আগেই বড় অর্ডার এনেছিলেন। এখনও সেসব বিক্রি করা তো দূরের কথা, গুদামে রাখার আগেই সব শেষ। প্রতিবেশী দোকানদারদের বক্তব্য, সকালের সময় হওয়ায় আশেপাশের দোকানগুলির শাটার তখনও খোলা হয়নি। তাই আগুন আরও ছড়াতে পারেনি—এটাই রক্ষা।
আগুন লাগার কারণ এখনও স্পষ্ট নয়, তদন্তে নেমেছে দমকল
এই আগুন কীভাবে লাগল, তা এখনও পরিষ্কার নয়। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে, শর্ট সার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। তবে দমকল বিভাগ সূত্রে খবর, একটি পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে। তারা দোকানের বৈদ্যুতিক সংযোগ ও অন্যান্য দিক খতিয়ে দেখছে।
চরম আতঙ্কে এলাকার মানুষ, বাজারে স্বাভাবিকতা ফেরাতে তৎপর পুলিশ
এই অগ্নিকাণ্ড ঘিরে গোলাবাজার এলাকায় তৈরি হয় প্রবল আতঙ্ক। কিছুক্ষণ বাজার কার্যত স্তব্ধ হয়ে যায়। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এবং বাজার স্বাভাবিক রাখতে স্থানীয় থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। পুলিশ ও দমকল যৌথভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনায় আপাতত স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন এলাকাবাসী।