Malda Drug Arrest : আবারও চাঞ্চল্য মালদায়। গভীর রাতের অভিযানেই পর্দাফাঁস এক মাদকচক্রের। প্রায় ৭০ লক্ষ টাকার ব্রাউন সুগার-সহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে মোট পাঁচজনকে। জেলা পুলিশ জানিয়েছে, পাচারের উদ্দেশ্যে মজুত করা হয়েছিল বিপুল পরিমাণে এই মাদক। ফলে নতুন করে প্রশ্ন উঠছে, মাদক চক্রের শিকড় মালদার মাটিতে কতটা গভীরে প্রোথিত?
কালিয়াচকে গোপন আস্তানায় হানা
রবিবার রাতের অন্ধকারে কালিয়াচকের একটি গোপন ডেরায় অভিযান চালায় পুলিশ। সেখান থেকে উদ্ধার হয় ৬০৬ গ্রাম ব্রাউন সুগার। গ্রেপ্তার করা হয় তিনজনকে। পুলিশি সূত্রে খবর, গোপন সূত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হানা দেওয়া হয় ওই এলাকায়। দীর্ঘদিন ধরেই সন্দেহের তালিকায় ছিল এই নির্দিষ্ট ডেরা।
বৈষ্ণবনগরে আরও দুই গ্রেপ্তার
অভিযান থেমে থাকেনি কালিয়াচকেই। একই রাতে বৈষ্ণবনগর থানার পুলিশ অভিযান চালায় ১৬ মাইল এলাকায়, যা ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের সংলগ্ন। সেখান থেকে উদ্ধার হয় আরও ৩৫০ গ্রাম ব্রাউন সুগার। গ্রেপ্তার করা হয় আরও দুই ব্যক্তিকে।
মোট মাদক উদ্ধার প্রায় কেজির কাছাকাছি
দুই অভিযান মিলিয়ে পুলিশ মোট উদ্ধার করেছে ৯৫৬ গ্রাম ব্রাউন সুগার। যার বাজার মূল্য অনুমানিক ৭০ লক্ষ টাকা বলে জানিয়েছে তদন্তকারী অফিসাররা। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, পাচারের জন্য জেলাতেই তৈরি হচ্ছিল এই বিপুল পরিমাণ মাদক। এর পেছনে আন্তর্জাতিক মাদকচক্রের যোগসূত্র রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আদালতে পেশ ধৃতরা
সোমবার ধৃত পাঁচ অভিযুক্তকে মালদা জেলা আদালতে পেশ করা হয়েছে। তদন্তে নেমে পুলিশ জেনে নিয়েছে ধৃতদের নাম, ঠিকানা ও আগে মাদকের সঙ্গে যুক্ত থাকার ইতিহাস। প্রয়োজনে রিমান্ডে নেওয়া হতে পারে বলেও জানা গিয়েছে।
লাগাতার অভিযানে জোর
জেলার পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, মাদক চক্র রুখতে নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে। বিশেষ করে সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় মালদা দীর্ঘদিন ধরেই মাদক পাচারের অন্যতম রুট হয়ে উঠেছে। ভবিষ্যতে এমন অভিযান আরও জোরদার করা হবে বলেও জানানো হয়েছে। একদিকে পুলিশি সাফল্যে খুশি স্থানীয়রা, অন্যদিকে উদ্বেগ বাড়ছে এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে। তাঁদের প্রশ্ন, যদি এক রাতেই এত মাদক উদ্ধার হয়, তবে এখনও কতটা লুকিয়ে রয়েছে ধুলো ও অন্ধকারে ঢাকা কোন গলিতে?