মালদা শহরে সোমবার যে শুটআউটের ঘটনা ঘটে, তার রেশ এখনও কেটে যায়নি। সকালবেলায় জনবহুল এলাকায় প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা রাজ্যে। আর সেই ঘটনার প্রেক্ষিতেই মঙ্গলবার সকালে খড়্গপুরে এক চা চক্রে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। তিনি ব্যাঙ্গাত্মক ভঙ্গিতে বলেন, “রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা এখন মাটিতে শুয়ে পড়েছে। সরকার চোখ বন্ধ করে বসে আছে।”
‘আইন-শৃঙ্খলা শুয়ে পড়েছে’, কটাক্ষের নিশানায় তৃণমূল
দিলীপ ঘোষের বক্তব্যে স্পষ্ট, মালদার মতো ঘটনায় পুলিশ প্রশাসনের ব্যর্থতা সামনে চলে এসেছে। তিনি বলেন, “এ রাজ্যে আর নিরাপত্তা বলে কিছু নেই। কখন, কোথা থেকে গুলি এসে লাগবে, কেউ জানে না। সাধারণ মানুষ আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে।” তিনি প্রশ্ন তোলেন, এমন ভয়াবহ শুটআউটের পরেও মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষ থেকে কোনও তৎপরতা নেই কেন? পুলিশ শুধুই তদন্তের কথা বলছে, কিন্তু এখনও পর্যন্ত কেউ ধরা পড়েনি।
তৃণমূলকে একহাত, মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা
খড়্গপুরের চা-চক্রে দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী সব কিছু জানেন, তবুও নির্লিপ্ত। হয়তো এসব ঘটনা পরিকল্পনা করেই ঘটানো হচ্ছে, যাতে ভয়ের পরিবেশ তৈরি হয়।” তিনি অভিযোগ তোলেন, “রাজ্যের শাসকদল নিজেরাই দুষ্কৃতীদের আশ্রয় দিচ্ছে। তাই প্রশাসন নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে।”
রাজনৈতিক চাপানউতোর চরমে
মালদার গুলিচালনার পর থেকেই শাসক ও বিরোধী শিবিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। তৃণমূল যদিও দিলীপ ঘোষের মন্তব্যকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। তাদের দাবি, আইন অনুযায়ী তদন্ত চলছে। অপরাধীদের খুঁজে বার করাই সরকারের অগ্রাধিকার। তবে সাধারণ মানুষের মনে ভয় ঢুকেছে—প্রকাশ্যে এমন গুলি চালানোর সাহস যদি কেউ পায়, তবে রাজ্যে আইন কোথায়? প্রশাসন সত্যিই কতটা কার্যকর?
এই ঘটনা ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে ফের একবার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ভবিষ্যতে প্রশাসন কতটা কড়া পদক্ষেপ নেয়, এখন সেদিকেই নজর।