উত্তর ২৪ পরগনার চণ্ডীতলা এলাকা। দেখতে একেবারেই সাধারণ এক বসতবাড়ি। কিন্তু সেই বাড়ির ভেতরেই লুকিয়ে ছিল এক ভয়ঙ্কর ষড়যন্ত্র! বারাসাত জেলা পুলিশ ও আয়ুর্বেদ ড্রাগ কন্ট্রোল যৌথ অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করল প্রায় ২৫ থেকে ৩০ হাজার পেটি জাল আয়ুর্বেদিক ওষুধ।
গ্রেফতার এক ব্যক্তি, অবাক পুলিশ প্রশাসন
ওই বাড়ির মালিককেই গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, তিনি রীতিমতো ‘রিলাইফ ফার্মাসিউটিক্যাল’ নামে একটি প্রতিষ্ঠিত আয়ুর্বেদিক সংস্থার নাম জাল করে নিজেই তৈরি করতেন ওষুধ। তৈরি তো করতেনই, সেই ওষুধ বাজারে সরবরাহও করতেন — সম্পূর্ণ বেআইনি ভাবে।
কেবল স্থানীয় নয়, বড় চক্রের জাল?
তদন্তকারীদের অনুমান, এটি কোনও ছোটখাটো কারবার নয়, বরং একটি বৃহৎ চক্রের অংশ। ধৃতকে জেরা করে জানার চেষ্টা চলছে, এই জাল ওষুধগুলো ঠিক কোথায় কোথায় ছড়িয়ে গেছে। এর সঙ্গে আরও কেউ জড়িত কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে জাল ওষুধ
আয়ুর্বেদিক ওষুধ সাধারণত শরীরের পক্ষে তুলনামূলক নিরাপদ মনে করা হলেও, জাল ওষুধের ক্ষেত্রে মিশ্রিত উপাদানের মান বা প্রভাব সম্পূর্ণ অনিশ্চিত। এতে রোগীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হচ্ছে বলেই আশঙ্কা প্রশাসনের। সংশ্লিষ্ট দফতর জানিয়েছে, বাজেয়াপ্ত ওষুধগুলোর নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
প্রশাসনের কড়া নজর, চলবে ধারাবাহিক অভিযান
পুলিশ ও আয়ুর্বেদ ড্রাগ কন্ট্রোলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই ঘটনায় তারা আরও তৎপর হয়ে তদন্তে নেমেছে। জেলার অন্যত্র কোথাও এমন বেআইনি উৎপাদন চলছে কি না, খতিয়ে দেখা হবে খুব শীঘ্রই।