শিলিগুড়ি থেকে গ্যাংটক যাওয়ার অন্যতম প্রধান রাস্তা—১০ নম্বর জাতীয় সড়ক (NH10)। উত্তরবঙ্গের সঙ্গে সিকিমের সংযোগে এই রাস্তাই ছিল ভরসা। কিন্তু এবার সেই রাস্তা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে কিছুদিনের জন্য। ন্যাশনাল হাইওয়ে ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী ১৯ মে পর্যন্ত পুরোপুরি যান চলাচল বন্ধ থাকবে।
এর আগে ৯ মে থেকে ঘণ্টায় ঘণ্টায় মেরামতের কাজের জন্য আংশিকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছিল রাস্তা। কিন্তু ১৫ মে থেকে নতুন করে সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত একটানা পুরো বন্ধ রাখা হচ্ছে। আর তাতেই মাথায় হাত পড়েছে ভ্রমণে বেরোনো হাজার হাজার পর্যটকের।
গাড়িভাড়া দ্বিগুণ! পর্যটনের মরশুমেই চরম ভোগান্তি
গ্যাংটকে বেড়াতে যাওয়ার সময় সাধারণত শিলিগুড়ি থেকে ছোট গাড়ি ভাড়া করলেই চলত। আগে যেখানে একটা গাড়ির ভাড়া সাড়ে চার হাজার টাকায় মিটত, এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ থেকে ১০ হাজার টাকায়!
শুধু তাই নয়, যেসব পর্যটক শেয়ার গাড়ি ধরে যাচ্ছেন, তাদের মাথাপিছু ৪০০ টাকার জায়গায় দিতে হচ্ছে ৮০০ টাকা। পরিবহন সংস্থাগুলোর দাবি, ঘুরপথে গাড়ি চালাতে হচ্ছে, যার ফলে খরচ বেড়েছে—তাই এই বাড়তি ভাড়া।
ঘুরপথে যাত্রা, সময়ও লাগছে দ্বিগুণ
শেয়ার গাড়ির এক চালক জানান, এখন সেবক হয়ে গরুবাথান, লাভা, লোলেগাঁও, আলগারা ঘুরে সিকিম পৌঁছতে হচ্ছে। ফলে সময় যেমন বেশি লাগছে, তেমনই গাড়ির খরচও বেড়েছে অনেকটা। তাদের কথায়, “এভাবে ঘুরে যেতে গেলে সময়ও লাগে অনেক বেশি, আর জ্বালানি খরচ তো আছেই। ভাড়া না বাড়িয়ে উপায় নেই।”
কয়েকদিন এরকমই চলবে, জানাচ্ছেন চালকেরা
চালকদের একাংশ জানাচ্ছেন, যতদিন না NH10 পুরোপুরি খুলছে, এই অবস্থা চলবেই। সোজা রাস্তায় গেলে সময় কম লাগত, খরচও হতো কম। কিন্তু ঘুরপথে যাওয়া মানে খরচ দ্বিগুণ—আর সেই বোঝা গিয়ে পড়ছে সাধারণ পর্যটকের কাঁধেই। এই অবস্থায় বহু পর্যটকই নতুন করে পরিকল্পনা করতে বাধ্য হচ্ছেন। কেউ কেউ ট্রিপ বাতিল করছেন, কেউ বা সস্তার বিকল্প খুঁজে নিচ্ছেন।