Thug Life : দক্ষিণী সুপারস্টার কামাল হাসানের নতুন ছবি ‘Thug Life’ এখন মুক্তির আগেই খবরের শিরোনামে। কর্ণাটকের কিছু সিনেমা হলে ছবিটি প্রদর্শনের বিরোধিতা করে হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে এক আবেদনপত্র দাখিল হয়, যেখানে কর্ণাটকের সিনেমা হলগুলোর সুরক্ষা চেয়ে হস্তক্ষেপ দাবি করা হয়।
সুপ্রিম কোর্টের জরুরি পদক্ষেপ
বিষয়টির গুরুত্ব বুঝে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি প্রশান্ত কুমার মিশ্র ও মনমোহনের ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্য সরকার, কর্ণাটক পুলিশ, ‘Raaj Kamal Films International Pvt. Ltd.’ এবং কর্ণাটক ফিল্ম চেম্বার অব কমার্স (KFCC)-কে নোটিস পাঠিয়েছে। আদালতের পক্ষ থেকে সব পক্ষের মতামত চেয়ে আগামী সপ্তাহে এই মামলার শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
কেন উঠছে এই হুমকি?
‘Thug Life’ নিয়ে আপত্তির কারণ হিসেবে কেউ কেউ ধর্মীয় বা রাজনৈতিক সংবেদনশীলতা তুলে ধরছেন। আবার অনেকে বলছেন, ছবির কনটেন্ট নিয়েই একটি গোষ্ঠীর আপত্তি রয়েছে, যদিও নির্মাতাদের পক্ষ থেকে এমন কোনও বিতর্কিত দৃষ্টিভঙ্গির কথা অস্বীকার করা হয়েছে। রাজ্যের কিছু এলাকায় ইতিমধ্যেই সিনেমা হলগুলোর মালিকদের ছবি না দেখানোর জন্য মৌখিক হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। নিরাপত্তা না পেলে তাঁরা ছবি দেখাবেন না—এমন আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে।
সিনেমা হলে হুমকি, শিল্পমাধ্যমে প্রভাব
ভারতে বারবার ছবির মুক্তিকে ঘিরে বিতর্ক, নিষেধাজ্ঞা, এমনকি শারীরিক হুমকির ঘটনাও ঘটেছে। এর ফলে শুধু ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি নয়, শিল্পের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের উপরও চাপ তৈরি হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে সিনেমা হলের সুরক্ষা ও প্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
চলচ্চিত্র সংস্থা ও নির্মাতাদের উদ্বেগ
‘Thug Life’-এর প্রযোজনা সংস্থা ‘Raaj Kamal Films International’ এখনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া না দিলেও ইন্ডাস্ট্রি সূত্রে খবর, ছবিটি নিয়ে এমন হুমকিতে তাঁরা হতাশ ও চিন্তিত। সিনেমার প্রচার ও মুক্তির পরিকল্পনাও এখন নতুন করে ভাবতে হচ্ছে তাঁদের।
ফিল্ম চেম্বার ও পুলিশের ভূমিকা
কর্ণাটক ফিল্ম চেম্বার অব কমার্সও এই প্রসঙ্গে জড়িত। সুপ্রিম কোর্ট তাদের কাছ থেকেও প্রতিক্রিয়া চেয়েছে। অপরদিকে, কর্ণাটক পুলিশের উপর রয়েছে বড় দায়িত্ব—বিরোধ ও হুমকিকে মোকাবিলা করে সিনেমা হলগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
সমাজ ও আদালতের ভূমিকা
‘Thug Life’-এর ঘটনা আরও একবার দেখিয়ে দিল, শিল্পমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষায় কোর্টের হস্তক্ষেপ কতটা জরুরি। আইন আদালতের মাধ্যমে হুমকির মোকাবিলা না করলে ভবিষ্যতে আরও বহু শিল্পী ও নির্মাতার মুখ থমকে যেতে পারে।
উল্লেখ্য, কামাল হাসানের এই ছবি কতটা জনপ্রিয় হয় তা ভবিষ্যতের বিষয়, কিন্তু তার আগে সুপ্রিম কোর্টের রায় এবং প্রশাসনের পদক্ষেপ ঠিক করবে—ভারতে সিনেমা দেখতে গিয়ে কেউ আতঙ্কে থাকবেন কিনা। আগামী সপ্তাহের শুনানির দিকে তাকিয়ে রয়েছে গোটা ফিল্ম জগৎ।