মে মাস পড়তেই গরমে হাঁসফাঁস করছে রাজ্যবাসী। আর তাই পাহাড়ের শীতল পরশ পেতে অনেকেই প্ল্যান করেছিলেন দার্জিলিং বা সিকিমে ঘুরতে যাওয়ার। কিন্তু সম্প্রতি দেখা গেল সম্পূর্ণ বিপরীত ছবি। হঠাৎ করেই একের পর এক বুকিং বাতিল করছেন পর্যটকেরা।
ছুটি বাতিল, যুদ্ধের শঙ্কা—সব মিলিয়ে তাল কাটছে বেড়ানোর আনন্দে
এই মুহূর্তে যুদ্ধ পরিস্থিতি ঘিরে ভারত-পাক উত্তেজনা তুঙ্গে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী নিজেই স্কুল ছুটি এগিয়ে আনার প্রস্তাব দিয়েছেন। পাশাপাশি বাতিল হচ্ছে সরকারি কর্মীদের ছুটিও। অনিশ্চয়তার ভয়ে অনেকে শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত বদল করছেন।
এক পর্যটক বলেন, “বাচ্চার স্কুলের ছুটি কবে হবে বুঝতে পারছি না। আবার দার্জিলিং গিয়ে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হলে কী হবে ভেবে বুকিং ক্যানসেল করে দিলাম।”
জাতীয় সড়ক বন্ধ! ভোগান্তির আশঙ্কায় ঘুরতে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত
সিকিম ও শিলিগুড়ির মধ্যে সংযোগকারী ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে এখন চলছে জোরদার মেরামতির কাজ। মাঝে মাঝেই রাস্তা কয়েক ঘণ্টার জন্য বন্ধ রাখা হচ্ছে। এতে ভোগান্তির আশঙ্কায় অনেকে ঝামেলা এড়িয়ে ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান বাদ দিচ্ছেন।
চাপে পর্যটন ব্যবসা, মাথায় হাত ট্রাভেল এজেন্টদের
প্রতি বছর মে-জুন মানেই পাহাড়ে উপচে পড়া ভিড়। হোটেল, গাড়ি, হোমস্টে—সবই ফুল বুকিং থাকে। কিন্তু এবার বহু বুকিং বাতিল হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। দার্জিলিংয়ের এক হোটেল মালিক জানান, “প্রথমে বুকিং নিয়ে খোঁজ নিচ্ছিলেন, টাকা পর্যন্ত পাঠিয়েছেন। এখন বলছেন ওয়ার কন্ডিশনের জন্য যেতে পারবেন না। ক্ষতি হলেও বুঝে নিচ্ছি।”
পরিস্থিতির উন্নতি কবে হবে?
কিছু মানুষ ভেবেছিলেন যুদ্ধের জেরে হয়তো অস্থায়ী সমস্যা। কিন্তু সরকারি ছুটি বাতিল, রাস্তা বন্ধ আর যুদ্ধভয়ের জেরে কেউই ঝুঁকি নিতে চাইছেন না। পাহাড়ে গিয়ে আটকে পড়ার আশঙ্কা থেকেই হচ্ছে এই বুকিং বাতিল। দার্জিলিংয়ের পর্যটন ব্যবসা যে বড় ধাক্কা খেল, তা বলাই বাহুল্য।