আজকাল কেউই পকেটে খুব বেশি নগদ টাকা রাখে না। বেশিরভাগ মানুষই অনলাইনে পেমেন্ট করেন। বীরভূমেও এই নতুন প্রথা জনপ্রিয় হয়েছে। তবে কখনও কখনও জরুরি প্রয়োজনের জন্য এটিএম থেকে টাকা তোলার প্রয়োজন হয়। ঠিক এমনই একটা পরিস্থিতিতে বীরভূমের এক বাসিন্দা প্রতারণার শিকার হন।
টাকা জমা করার পর মেশিনে আটকে গেল কার্ড
বীরভূমের রানাপুরের সুকান্ত মণ্ডল একটি এটিএমে টাকা জমা দিতে যান। কার্ড ঢোকানোর পর পিন দেন এবং টাকা জমাও হয়ে যায়। কিন্তু পরবর্তী সময়ে যতবার চেষ্টা করেন, মেশিন থেকে কার্ড বের হয় না।
হেল্পলাইন নম্বরে ফোন, এরপর শুরু হয় চক্রান্ত
তিনিই তখন এটিএমের কাউন্টারে দেওয়া হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করেন। কিছুক্ষণ পর ভিডিও কল আসে এবং তাকে নানা ধরনের নির্দেশনা দেওয়া হয়। অবশেষে তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয় এটিএমের গোপন পিন নম্বর। তখনই সন্দেহ হওয়া শুরু করে।
নিজের সচেতনতায় বাঁচলেন বড় ক্ষতি থেকে
কিছুটা সময় নিয়ে সুকান্ত বুঝতে পারেন, এটি একটি প্রতারণার ফাঁদ। তৎক্ষণাৎ তিনি নিজের মোবাইল অ্যাপ থেকে কার্ডটি ব্লক করে দেন। পরে তিনি ব্যাঙ্কে গিয়ে পুরো ঘটনাটি জানালে, সেখানে জানতে পারেন যে, ওই হেল্পলাইন নম্বরটি আসলে প্রতারকদের।
ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে জানানো হলো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে
ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ জানায়, তারা এই ঘটনায় খতিয়ে দেখবেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। তবে, সুকান্ত মণ্ডল নিজের সচেতনতায় বড় কোনো ক্ষতির মুখে পড়েননি।
সতর্ক থাকুন, প্রতারকদের হাত থেকে সাবধান
এই ঘটনা আবার প্রমাণ করে যে, কোন পরিস্থিতিতেই অচেনা নম্বরে ফোন করা বা গোপন তথ্য শেয়ার করা উচিত নয়। যদি কখনও এ ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হন, তাহলে অবিলম্বে নিজের ব্যাংকের কাস্টমার কেয়ার নম্বরে যোগাযোগ করুন।