বর্তমানে কলকাতা শহরে রুফটপ রেস্তোরাঁ শহরবাসীর জন্য একটা আলাদাই ভালোলাগার জায়গা। সাধারণ রেস্তোরাঁ বা ক্যাফের থেকে রুফটপ রেস্তোরাঁ গুলি এখন বেশ জনপ্রিয়। কিন্তু হঠাৎ করেই দাবি উঠল কলকাতা শহর থেকে সমস্ত রুফটপ রেস্তোরাঁ সরিয়ে দেওয়ার। আগে বড় বাজারে ঘটে যাওয়া অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পরে এই রুফটপ রেস্তোরাঁ গুলো সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা পৌরসভা। মালিকদের দাবি, সব নিয়ম মেনে ব্যবসা চালানো সত্ত্বেও একে একে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে রেস্তোরাঁগুলো। আর তাই এবার তাঁরা ন্যায়ের আশায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন।
মামলার অনুমতি দিল আদালত
সূত্রের খবর, এই মামলার অনুমতি দিল আদালত। শুনানি আজ দুপুরে। বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্ত সেই আবেদন মঞ্জুর করেছেন। মামলার শুনানি হবে আজ, দুপুর ২টোর সময়। আশায় বুক বেঁধেছেন ব্যবসায়ীরা, হয়তো আদালতের কাছেই মিলবে সুবিচার।
এক জনপ্রিয় রেস্তোরাঁর মালিকের মন্তব্য
কলকাতা পুরসভার এই সিদ্ধান্তের পর এক জনপ্রিয় রেস্তোরাঁ এক মালিক বলেন, “বছরের পর বছর ধরে ব্যবসা করছি। ফায়ার লাইসেন্স, পরিবেশের অনুমতি, পুরসভার ছাড়পত্র—সবই ছিল। তবু কোনও রকম নোটিস ছাড়াই রেস্তোরাঁ ভেঙ্গে দিতে চাইছে! এমনটা হয়?”এই ঘটনার জেরে বহু কর্মচারী কাজ হারিয়েছেন, অনেকের সংসারে আজ রুটির টান। শুধু মালিক নয়, সমস্যায় পড়েছেন শতাধিক কর্মচারী এবং তাঁদের পরিবার।
নীরব কলকাতা পুরসভা , উঠছে নানা প্রশ্ন
পুরসভার পক্ষ থেকে এখনো কোনও পরিষ্কার বক্তব্য আসেনি। শুধু জানা গিয়েছে, কিছু রেস্তোরাঁ নাকি ‘নিরাপত্তা বিধি’ মানছিল না। তবে মালিকদের দাবি, সব দিক থেকেই তাঁদের অনুমতি ছিল। তাহলে এতগুলো রেস্তোরাঁ হঠাৎ ভাঙার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল কেন?
কলকাতার রুফটপ সংস্কৃতিতে বড় ধাক্কা
একটা সময় ছিল, যখন সন্ধ্যেবেলা ছাদে বসে কলকাতার আকাশ দেখতে দেখতে খাওয়া দাওয়া করাটা ছিল অনেকের অভ্যাস। রুফটপ রেস্তোরাঁ শুধু খাওয়ার জায়গা ছিল না, ছিল একটা আবেগ, একটা লাইফস্টাইল। সেই ছবিটাই যেন মুছে যাচ্ছে দিনে দিনে।
এখন সব নজর আজকের আদালতের দিকে। রেস্তোরাঁ মালিকেরা আশাবাদী, তাঁদের কষ্ট-ঘাম-স্বপ্ন—সব কিছুর সঠিক বিচার মিলবে আইনের মঞ্চে।