সকালে ঘুম থেকে উঠে আমরা অনেকেই জল খেয়ে দিন শুরু করি। কেউ কেউ আবার খালি পেটে কিছু না খেয়েই ব্যস্ত হয়ে পড়ি দিনের কাজকর্মে। কিন্তু জানেন কি, এমন কিছু প্রাকৃতিক খাবার আছে, যেগুলো খালি পেটে খেলেই শরীরের জন্য হয়ে উঠতে পারে আশীর্বাদ? বিশেষত, ভেজানো ছোলা ও কিসমিস—এই দুই খাবার একসঙ্গে খেলে উপকার মিলবে বহু গুণে।
ভেজানো ছোলা—প্রোটিনের ভাণ্ডার
ছোলা মানেই তো আমরা জানি, প্রোটিন। কিন্তু রাতভর জলে ভিজিয়ে সকালে খেলে এই ছোলার উপকারিতা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। এতে থাকে—
-
প্রোটিন
-
ফাইবার
-
কার্বোহাইড্রেট
এই তিন উপাদান একসঙ্গে শরীরে এনে দেয় শক্তি, সহনশীলতা আর হজমশক্তির উন্নতি। যারা শরীরচর্চা করেন, তাঁদের জন্য তো অবশ্যই, কিন্তু যাঁরা সাধারণ জীবনযাপন করেন, তাঁদেরও দৈনন্দিন শক্তির জোগান দিতে পারে এই ছোলা।
কিসমিস—মিষ্টি স্বাদের মধ্যে লুকিয়ে উপকার
রাতে ভিজিয়ে রাখা কিসমিস সকালে খেলে শরীর যেমন হাইড্রেট থাকে, তেমনই এতে থাকা আয়রন আর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রক্তশুদ্ধি করে ও ত্বক উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে। বিশেষ করে গরমকালে কিসমিস শরীর ঠান্ডা রাখতেও দারুণ কাজ করে। তাছাড়া, কিসমিস শরীরের টক্সিন দূর করতে সহায়তা করে। ফলে দিন শুরু করতে পারেন একেবারে ফ্রেশ অনুভব করে।
ছোলা-কিসমিস একসঙ্গে? উপকার দ্বিগুণ!
বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ছোলা ও কিসমিস একসঙ্গে খাওয়ার অভ্যাস করা যায়, তাহলে—
-
হজমশক্তি বেড়ে যাবে
-
ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে
-
কোলেস্টেরল কমবে
-
হরমোনের ভারসাম্য থাকবে
-
শরীরে সারাদিন এনার্জি ও সতেজতা থাকবে
কীভাবে খাবেন?
১. ১০–১৫টা কালো ছোলা এবং ৮–১০টা কিসমিস রাতেই জলে ভিজিয়ে রাখুন।
২. সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে এই ভেজানো ছোলা ও কিসমিস খেয়ে ফেলুন।
৩. চাইলে ওই জলটুকুও খেয়ে নিতে পারেন—এতে আরও বেশি উপকার পাবেন।
একটুখানি সতর্কতা
যাদের ডায়াবেটিস, কিডনির সমস্যা বা অন্য কোনও দীর্ঘস্থায়ী রোগ রয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে নিয়মিত ছোলা ও কিসমিস খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
রোজকার জীবনে খুব ছোট একটা পরিবর্তন আনলেই আমরা অনেক বড় উপকার পেতে পারি। খালি পেটে ভেজানো ছোলা ও কিসমিস খাওয়ার এই অভ্যাস আপনার শরীরকে ভিতর থেকে পরিষ্কার রাখবে, শক্তি জোগাবে, এবং মেটাবলিজমকে করবে তরতাজা। আজ রাতেই ভিজিয়ে রাখুন…আগামীকাল থেকেই শুরু হোক আপনার সুস্থ জীবনের নতুন অধ্যায়।